1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ওয়েব সেক্সের অভিযোগে বিতাড়িত জ্যাসন ম্যানফোর্ড

২০ নভেম্বর ২০১০

বিবিসি টেলিভিশনের দ্য ওয়ান শো’র শুরুটা খুব বেশি দিন হয়নি৷ সহউপস্থাপক অ্যালেক্স জোনসকে নিয়ে ২৯ বছর বয়স্ক কৌতুক অভিনেতা জ্যাসন ম্যানফোর্ড শুরু করেন এই সিরিজটি৷

https://p.dw.com/p/QE5A
ফাইল ছবিছবি: AP

সিরিজটি শুরু হবার পরপরই শুরু হয় এর জনপ্রিয়তার পথের যাত্রা৷ কেবল অনুষ্ঠানটির নয়, অনুষ্ঠানের উপস্থাপক জ্যাসন ম্যানফোর্ডের খ্যাতিও বাড়তে থাকে৷ সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ভক্তকুলের সংখ্যা৷ বলে রাখা ভালো এই ভক্তকুলের বেশিরভাগই নারী৷ হয়তো এতো ভক্ত পেয়ে মাথাটা কিঞ্চিত খারাপ হয়েছিল বিবাহিত এই কৌতুক অভিনেতার৷

অন্য অনেকের মতো তিনিও টুইটার, স্কাইপের মতো ওয়েবযন্ত্র দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে চ্যাটিং শুরু করেন৷ কেবল কথাবার্তা, কুশল বিনিময় ভালো লাগা, মন্দ লাগার বিষয়ে আলোচনা করাটা তো আর মন্দ কিছু নয়!

কিন্তু এই সম্পর্ক অন্যদিকে নিয়ে গেলেন জ্যাসন৷ একে একে ১২টি মেয়ের সঙ্গে তিনি ওয়েব সেক্সে মেতে উঠলেন৷ এ সকল নারীকে তিনি নিয়মিত টুইটারে পাঠাতেন রগরগে সব বার্তা৷ এদের অনেকের সঙ্গে স্কাইপের মাধ্যমে ভিডিও চ্যাটিংও করেছেন তিনি৷ আর বলার অপেক্ষা থাকে না যে এই ভিডিও আলাপ ছিল পুরোপুরি যৌন নির্ভর৷

পত্র-পত্রিকার সাংবাদিকরা তো আর বসে থাকতে পারেন না৷ অনুসন্ধান আর প্রমাণ সমেত উপস্থাপন এবং খবর প্রকাশ৷ এবার কোথায় যাবে বাছাধন! ধরা পড়ে শেষ পর্যন্ত আর যায় কোথায়৷ এই তো একদিন আগেই তিনি বিবিসি কর্তৃপক্ষের কাছে নিজের পদত্যাগ পত্র জমা দিলেন৷ কর্তৃপক্ষ সেটা গ্রহণও করলো৷ আসলে তারা এটিই চাচ্ছিলেন!

দ্য সান ম্যাগাজিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নিজের অপকর্মের কথা স্বীকার করলেন এই কৌতুক অভিনেতা৷ বললেন, এবার আর অন্যদিকে নয়, নিজের পরিবারের দিকে দৃষ্টি দেবো৷ তাদেরকে আরও সময় দেবো৷ নিন্দুকেরা বলছেন, ধরা পড়লে এমনি নাকি কথা বলেন এ ধরণের সেলিব্রেটিরা!

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম