ওয়াতারার ডাকা ধর্মঘটের প্রথম দিন সফল হলো না
২৮ ডিসেম্বর ২০১০তারা বলছে রাজধানী আবিদজানে ধর্মঘটের কোনো প্রভাব পড়েনি৷ কাজ হয়েছে দুটো সমুদ্র বন্দরেও৷ তবে দেশটির উত্তরে যেখানে বাগবোর চেয়ে ওয়াতারার সমর্থক বেশি সেখানে ধর্মঘট কিছুটা পালিত হয়েছে৷
কেন এমন হলো?
বার্তা সংস্থা রয়টার্স কর্মরত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছে৷ তারা বলছে আইভরি কোস্টের বেশিরভাগ মানুষ দিন আনে দিন খায়৷ তাই একদিন কাজ বন্ধ রাখতে বলা মানে হলো না খেয়ে থাকা৷ তবে ওয়াতারার এক মুখপাত্র বলছেন ধর্মঘট যে ডাকা হয়েছে সেটা মানুষ এখনো ঠিকমত জানতেই পারেনি৷ তিনি আশা করছেন দ্বিতীয় দিন থেকে ধর্মঘটের প্রতি মানুষের সমর্থন বাড়বে৷ উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ওয়াতারা জনগণকে সরকারের প্রতি ‘অবাধ্য' হতে বলেছিলেন৷ কিন্তু তাঁর সেই আহ্বানেও জনগণ তেমন সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স৷
তিন প্রেসিডেন্টের সফর
পশ্চিম আফ্রিকার তিন দেশের প্রেসিডেন্ট আজ আইভরি কোস্ট যাচ্ছেন৷ তাঁরা বাগবোকে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানাবেন৷ কিন্তু তাঁদের এই চেষ্টায় কোনো ফল আসার তেমন সম্ভাবনা নেই বলেই ধারনা বিশেষজ্ঞদের৷ তবে ঐ তিন প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানাবে বাগবো সরকার৷ এমনটাই বলেছেন বাগবো সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমিলি গুইরিওলু৷ তিনি বলেন ভাই বা বন্ধু হিসেবে তারা কী বলতে চান সেটা সরকার শুনবে৷ এদিকে আইভরি কোস্টের সমস্যা নিরসনে আফ্রিকান ইউনিয়ন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট রায়লা ওদিঙ্গাকে দায়িত্ব দিয়েছে৷ এরপর বিবিসি'র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ওদিঙ্গা বলেন, তিনি আগে পশ্চিম আফ্রিকার ঐ তিন প্রেসিডেন্টের সফরে কী হয় সেটা দেখবেন৷ তারপর তিনি তাঁর করণীয় কী হবে সেটা ঠিক করবেন৷ উল্লেখ্য, আইভরি কোস্টের সমস্যা শুরু হওয়ার পর ওদিঙ্গাই প্রথম বাগবোর বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি প্রয়োগের প্রস্তাব দিয়েছিলেন৷
বাগবো'র সাক্ষাৎকার
ফরাসি সংবাদপত্রে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাগবো বলেন যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, এমনটাই বলেছেন বাগবো৷ তিনি বলেন যদি তাঁকে হটাতে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করা হয় তবে সেটা হবে ভয়ংকর৷ আর অপহরণ ও অবৈধভাবে মৃত্যুদন্ড দেয়ার যেসব অভিযোগ রয়েছে সেটা খতিয়ে দেখতে তিনি বিচারমন্ত্রীকে বলবেন বলে জানিয়েছেন বাগবো৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম