1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ওবামার বিলে অবাক বাংলাদেশ

সমীর কুমার দে, ঢাকা২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বুধবার ট্যারিফ আইন সংশোধনের বিলে সই করেছেন৷ এর ফলে বাংলাদেশে নির্যাতিত নারীদের দিয়ে তৈরি পোশাক যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ঢুকতে পারবে না৷

https://p.dw.com/p/1I2un
Bangladesch Näherinnen bei der Arbeit
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan

বার্তা সংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সংশোধন করা ঐ আইনে মানুষকে জোরপূর্বক শ্রমে নিযুক্ত করে উৎপাদন করা পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ ১৯৩০ সালের ট্যারিফ আইনটি ৮৫ বছর পর সংশোধন করা হয়৷ এর ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দাসদের দিয়ে ধরা মাছ ও আফ্রিকায় সোনার খনি থেকে শিশুশ্রম ব্যবহার করে উত্তোলিত সোনা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ঢুকতে পারবে না৷

বাণিজ্যসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ আইন সংশোধনের বিষয়টি তাঁর জানা নেই৷ তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক খাতে জোর করে কাজ করানোর কোনো নজির নেই৷

‘সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ' সিপিডি-র নির্বাহী পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান মনে করেন, বাংলাদেশ প্রসঙ্গটি আরোপিতভাবে আনা হয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকায় জোর করে কাজ করানোর বিষয়টি ঠিক আছে৷ কিন্তু বাংলাদেশের পোশাক খাতের নারী শ্রমিকদের নিয়ে এটা বলা হলে তা হবে সম্পূর্ণ বাস্তবতা বিবর্জিত৷ এর আগে যখন জিএসপি স্থগিত করা হয়েছিল, তখন কিন্তু ১৬টি শর্তের কথা তারা বলেছিল৷ আমরা বলেছিলাম, হ্যাঁ ওই সব জায়গায় আমাদের ঘাটতি আছে৷ সেগুলো আমরা ঠিক করার চেষ্টা করছি৷ অনেক কিছু করেছিও৷ তখন কিন্তু নির্যাতিত নারী শ্রমিকদের বিষয়টি বলা হয়নি৷ তাহলে এখন হঠাৎ কেন এই প্রসঙ্গ? বাংলাদেশের উচিত দ্রুত এর প্রতিবাদ করা৷''

মোস্তাফিজুর রহমান

‘কনফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স বাংলাদেশ' এর সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিয়ে ট্যারিফ আইনে যা বলা হয়েছে, সেটা অন্যায়৷ একজন শ্রমিক নেতা হিসেবে এবং নারী শ্রমিকদের পক্ষ থেকে আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই৷'' যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এখন আর বাংলাদেশের পোশাকের খুব বেশি ক্রেতা নেই উল্লেখ করে এই শ্রমিক নেতা বলেন, ‘‘গার্মেন্টসে কাজ করা নারী শ্রমিকদের সঙ্গে আমরা মাঝে মধ্যেই বসছি৷ সেখানে তাদের অভিযোগ থাকলে সেগুলো নিয়ে মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে সমাধান করি৷ মালিকরাও এক্ষেত্রে আন্তরিক৷ ফলে হঠাৎ করে এই প্রসঙ্গটি কেন এল তা আসলে আমরা বুঝতে পারছি না৷''

সিরাজুল ইসলাম রনি

রনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের গার্মেন্টসে কাজ করা নারী শ্রমিকরা এখন অনেক বেশি সচেতন৷ তারা তাদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে অবহিত৷ ফলে তাদের নির্যাতন করে কাজ করানো যায় এমন ভাবা একেবারেই ঠিক নয়৷''

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে অন্তত ২ কোটি ৯০ লাখ মানুষকে এরকম জোর করে কাজ করানো হয়৷ এই অবৈধ শিল্প থেকে মুনাফা আসে বছরে ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে ট্যারিফ আইন সংশোধনের বিলটি তুলেছিলেন দেশটির ওহাইও অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেসম্যান শ্যারড ব্রাউন৷ এপিকে বুধবার তিনি বলেন, ‘‘এটা ৮৫ বছর ধরেই আমাদের জন্য খুবই বিব্রতকর ছিল যে জোর করে কাজ করানো হয় এবং দাসের মতো আচরণ করা হয়- এমন মানুষদের তৈরি পণ্য আমরা আমদানি করছি৷'' যুক্তরাষ্ট্রের এই আইন বৈশ্বিক দাসত্ব দূরীকরণে সহায়ক হবে বলে তিনি মনে করেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য