ওবামার আহ্বানে সাড়া দিলেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ
১৪ এপ্রিল ২০১০দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ৪৬ টি দেশের রাষ্ট্র এবং সরকার প্রধান উপস্থিত হন৷ তাদের সামনে প্রেসিডেন্ট ওবামা তুলে ধরেন যে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর হাতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি চলে যাওয়ায় বর্তমান বিশ্ব কি পরিমাণ পরমাণু ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে৷ ওবামা বলেন, ‘সংক্ষেপে এটা অত্যন্ত স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য পরমাণু সন্ত্রাস এখন সবচেয়ে বড় হুমকির একটি৷ এবং এইজন্য আগামী চার বছরের মধ্যে ঝুকিপূর্ণ পরমাণু উপাদাগুলোকে নিরাপদ জায়গায় সংরক্ষণ করতে, এক বছর আগে প্রাগে আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলাম৷ যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী পরমাণু অস্ত্র কমিয়ে আনতে এবং পরমাণু অস্ত্র বিস্তারে যে কাজ করে যাচ্ছে এটা তার একটি অংশ৷'
মার্কিন প্রেসিডেন্ট এর এই আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন সম্মেলনে আগত নেতৃবৃন্দ৷ মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁর সমাপণী ভাষণে নেতৃবৃন্দের এই সমঝোতার কথা জানান এবং এজন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন৷ তবে তিনি এটাও জানান যে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এত সহজ হবে না৷ তিনি আরও জানান যে মেক্সিকো, চিলি এবং ইউক্রেন তাদের উচ্চ মাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পরিত্যাগ করার কথা জানিয়েছে৷
ইরানের বিরুদ্ধে জনমত গঠন
এদিকে ইরানের ওপর আরও বেশি করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের মত আদায়ের চেষ্টা করেছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা৷ ভাষণে তিনি বলেন, আমি চাই আমরা এমন সাহসী পদক্ষেপ নেই যাতে করে ইরানকে ভিন্নভাবে হিসাব করতে হয়৷ তিনি আশা প্রকাশ করেন যে ইরানের ওপর চতুর্থ দফার নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্যোগে যোগ দেবে চীন৷ সোমবার চীনা প্রেসিডেন্ট হু জিনতাওয়ের সঙ্গে তার আলোচনাতেও বিশেষ গুরুত্ব পায় এই বিষয়৷ এদিকে মঙ্গলবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি আগামী মাসের মধ্যে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন৷
নতুন রুশ-মার্কিন চুক্তি
মঙ্গলবার সম্মেলনের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন চুক্তি৷ দুই দেশ তাদের উদ্বৃত্ত প্লুটোনিয়ামের একটি অংশ নষ্ট করে ফেলতে রাজি হয়েছে৷ নতুন চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশ ৩৪ টন করে উদ্বৃত্ত প্লুটোনিয়াম নষ্ট করে ফেলবে৷ এদিকে ওবামা জানিয়েছেন, আগামী বছর দক্ষিণ কোরিয়াতে এই সম্মেলন আবারও অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর৷
প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা