ওজোনে ফুটো, তাই খরাতে অস্ট্রেলিয়া
২৩ এপ্রিল ২০১১দ্য জার্নাল সায়েন্স৷ সেখানেই বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার খরার ব্যাখ্যা৷ তাতে বলা হয়েছে, অ্যান্টার্কটিকার ওজোন স্তরে যেসব ফুটো রয়েছে, তারাই আসলে অস্ট্রেলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকার বাতাসের ঘনত্ব এবং বৃষ্টিপাতের বিন্যাস বদলে দিয়েছে৷ যার ফলেই এই খরা৷ আর শুধু অস্ট্রেলিয়াতেই নয়, এই ওজোন স্তরের ফুটোফাটা সম্পূর্ণ দক্ষিণ গোলার্ধে ঘটিয়েছে আরও অনেক প্রাকৃতিক সমস্যা৷
অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রে ওজোন স্তরের এই ফুটোর কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এতটাই খরা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যে লাটে উঠেছে চাষবাস, বন্ধ হয়েছে একের পর এক ছোটবড় সংস্থা, এমনকি মানুষজন ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতেও বাধ্য হয়েছে৷
বিজ্ঞানীরা বলছেন, দক্ষিণ গোলার্ধের বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরে ছোটবড় একাধিক ফুটো হয়ে যাওয়ার ফলে ঘন বাতাস, যা কিনা বায়ুমণ্ডলের অনেক ওপরের দিকে থাকার কথা, তারা নেমে আসে খানিক নীচে৷ সেই বাতাস নানারকমের গোলমাল বাধায় প্রকৃতির মধ্যে৷ সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় বৃষ্টির মেঘকে সেই বাতাস অনেক দূরে ঠেলে দিলে৷ যার ফলে খরা অবশ্যম্ভাবী৷
সুতরাং ওজোন স্তরে ফুটো নিয়ে অস্ট্রেলিয়া যে খরার মুখে পড়বে সেটা তো জানা কথাই৷ বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, ভবিষ্যতে এই খরার মাত্রা আরও ছড়াবে৷ তাই বিকল্প ব্যবস্থার দরকার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন