ঐতিহাসিক ভুল!
২৫ নভেম্বর ২০১৩জেনেভায় রবিবার জাতিসংঘের পাঁচ সদস্য দেশ যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রিটেন, রাশিয়া, চীন আর জার্মানির সঙ্গে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির পরিধি হ্রাসের বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়৷ এ নিয়ে ইরানে শুরু হয়েছে উল্লাস৷ আনন্দে উদ্বেল হাজার হাজার মানুষ এখন রাজধানী তেহরানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফকে সংবর্ধনা দেয়ার অপেক্ষায়৷ ইরান আশা করছে, এ চুক্তির ফলে দেশটির ওপর থেকে জাতিসংঘ আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করা হবে এবং দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে৷
ইরানের প্রতি ঐতিহাসিকভাবে বৈরিভাবাপন্ন দেশ ইসরায়েল এ চুক্তি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে৷ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘‘জেনেভায় যা অর্জিত হয়েছে তা কোনো ঐতিহাসিক চুক্তি নয়, ঐতিহাসিক ভুল৷ এর ফলে বিশ্ব আরো বিপদজনক স্থানে পরিণত হলো৷'' ইসরায়েলের সন্দেহ, চুক্তি স্বাক্ষর আসলে ইরানের অর্থনৈতিক অবরোধ থেকে বেরিয়ে আসার অপকৌশল মাত্র৷ ইসরায়েলের মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য চুক্তিকে এতটা সন্দেহের চোখে দেখছে না৷ এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ‘‘এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ৷'' পাশাপাশি ভবিষ্যতে মিত্র দেশ হিসেবে ইসরায়েলের প্রতি সকল অঙ্গীকারে যুক্তরাষ্ট্র অটল থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷
তবে জার্মানি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এ চুক্তির প্রশংসা করেছে পরিষ্কার ভাষায়৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে এটাকে ‘টার্নিং পয়েন্ট' হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘‘পারস্পরিক আস্থা বাড়ানোর জন্য আগামী কয়েক মাস এ নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে আমাদের৷'' ব্রিটেন আর ফ্রান্স চুক্তি অনুযায়ী যাতে কাজ হয় তা নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর৷ রাশিয়া বলেছে, ‘‘এর ফলে কেউ জেতেনি, কেউ হারেওনি৷'' তবে চীন চুক্তি নিয়ে আশাবাদী৷ বিশ্বের সবচেয়ে জনবহূল এই দেশটি মনে করে, ‘‘এ চুক্তি পারমাণবিক অস্ত্র হ্রাস করার প্রয়াসকে জোরদার করবে৷''
এসিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)