1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এ মাসেই ইরাকে মার্কিন যুদ্ধ মিশন শেষ হচ্ছে

৩ আগস্ট ২০১০

‘অপারেশন ইরাকি ফ্রিডম’ নামে ২০০৩ সালের মার্চ মাসে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ শুরু করেছিলেন এই যুদ্ধ৷ আর এ মাসেই শেষ হতে চলেছে তা৷

https://p.dw.com/p/OaXR
ওবামা পূরণ করছেন তাঁর অঙ্গীকারছবি: AP

শেষ হওয়ার কারণ

বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ক্ষমতায় আসার পরপরই অর্থাৎ গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা দিয়েছিলেন এই অপারেশন শেষ করার৷ ঐ সময়ই তিনি এর জন্য সময় বেঁধে দিয়েছিলেন ২০১০-এর আগস্ট মাস পর্যন্ত৷ তাঁর সেই অঙ্গীকার পূরণেই শেষ হতে চলেছে অপারেশন ইরাকি ফ্রিডম৷ সোমবার এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় ওবামা বলেছেন, এ মাসের মধ্যেই আরও ১৫ হাজার সৈন্য ফিরে আসবে যুক্তরাষ্ট্রে৷ এর ফলে অবশিষ্ট থাকবে আর মাত্র ৫০ হাজার সৈন্য৷ এখানে জানিয়ে রাখি, শুধু যে সেনা প্রত্যাহারই হচ্ছে তা নয়, ইরাক থেকে যুদ্ধ সরঞ্জামও সরিয়ে নিচ্ছে মার্কিনিরা৷ এর মধ্যে কিছু যাচ্ছে আফগানিস্তানে, কিছু দেওয়া হচ্ছে ইরাকি সেনাদের আর বাকি সরঞ্জাম ফিরে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সামরিক অস্ত্রাগারে৷

ইরাকের নিরাপত্তা পরিস্থিতি

ইরাকি সরকারের হিসেবে গতমাসে সহিংসতায় ইরাকে প্রাণ হারিয়েছে ৫৩৫ জন৷ এই সংখ্যা গত দুই বছরের যে কোন মাসের তুলনায় সবচেয়ে বেশি৷ এর আগে ২০০৮ সালের মে মাসে মারা গিয়েছিল ৫৬৩ জন৷ কিন্তু ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল স্টিফেন লানজা নিহতের এই সংখ্যাকে ‘অতিরঞ্জিত' বলেছেন৷ তাঁর দাবি, এটা ইরাকের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়৷ প্রেসিডেন্ট ওবামা'রও দাবি, ইরাকে সহিংসতার পরিমাণ গত কয়েক বছরের মধ্যে এখন সবচেয়ে কম৷

পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার আগামী বছর

ইরাকে থেকে যাওয়া ৫০ হাজার সেনা এখন থেকে যে কাজটা করবে তার নাম দেয়া হয়েছে ‘অপারেশন নিউ ডন'৷ ওবামা বলছেন, এই সেনাদের কাজ হবে অনেকটা উপদেষ্টার মত৷ যেমন, ইরাকি সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং কিছু অভিযানে ইরাকি সেনাদের সঙ্গে অংশ নেওয়া, ইত্যাদি৷ আর এই সেনারা ইরাকে থাকবেন আগামী বছরের শেষ পর্যন্ত৷ এমনই কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইরাকের মধ্য স্বাক্ষর হওয়া একটি চুক্তিতে৷ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের আমলে স্বাক্ষরিত হয়েছিল এই চুক্তিটি৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়