বাংলাদেশে সদ্য অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আমাদের বিশেষ আয়োজন এবং নির্বাচন নিয়ে ডিডাব্লিউ-র বিভিন্ন প্রতিবেদন পড়ে ফেসবুকে তাঁদের মন্তব্য লিখেছেন অনেক শ্রোতাবন্ধু৷ তারই কয়েকটা তুলে ধরা হলো৷
মো. কামরুল ইসলাম আসিফ লিখেছেন, ‘‘আমার দেখা বাংলাদেশের নির্বাচনের মধ্যে এটি একটি স্মরণকালের কৌতুক৷ তাই নির্বাচনের ফলাফল দেখা থেকেও মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে৷''
রোশান জামির তানভির লিখেছেন, ‘‘পাঁচ বছরের মধ্যে পদত্যাগ করুন, নইলে গণআন্দোলনের মুখে আপনাদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে – আওয়ামী লীগের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল অথবা বিএনপি নেতাদের কাছ থেকে এমন একটি আল্টিমেটাম শোনার জন্য জাতি আগ্রহভরে অপেক্ষা করছে৷''
অন্তহীন অপেক্ষা ছদ্মনামে এক বন্ধু লিখেছেন, ‘‘সাধারণ মানুষ এই নির্বাচন গ্রহণ করেনি৷ তারা গ্রহণ করলে, তবে তো বর্জনের কথা আসবে৷ এটা নির্বাচন না, এটা হলো গ্রামের মাতব্বরদের মতো জোর করে গরিব মানুষের হক নষ্ট করার মতো বাংলার ষোল কোটি মানুষের স্বার্থ নিয়ে বেইমানি৷''
মেহদি হাসান লিখেছেন, ‘‘জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশের সমর্থন আর আনুগত্য না থাকলে সরকার চালানো যায় না৷ এটাই বাস্তবতা৷ জোরাজুরি করে গদি ক'দিনই বা টেকানো যাবে বলেন? মানুষ যদি অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে তবে এইসব....নেতাদের জানাজা পড়ার লোকও পাওয়া যাবে না৷ ১৯৭৫ মানুষ ভুলে যায় নাই৷''
নাজমুল আহসান মুসলিমি লিখেছেন, ‘‘দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার নির্বাচন৷ এ নির্বাচন না হলে দেশ সাংবিধানিক সংকটে পড়তো৷ তাই এ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ছিল কিনা, তা বিবেচ্য বিষয় নয়৷ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কখন হবে, তা নির্ভর করছে বিএনপির উপর৷ বিএনপি যত দ্রুত সরকারি দলের সাথে একাদশ সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত ইতিবাচক আলোচনা শেষ করবে, দেশে তত দ্রুত একাদশ সংসদ নির্বাচন হবে৷''
সংকলন: দেবারতি গুহ
সম্পাদনা: জাহিদুল হক