‘এসো ভাই পড়ি লিখি দোঁহে মিলে শিখি’
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১অ্যারিস্টটলের পাঠশালাকে গ্রিসিয়রা বলতেন ক্যাম্পাস, ‘জ্যাঠামির আখড়া'৷ অর্থাৎ এখানে যাঁরা শিক্ষার্থী, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রত্যেকে জ্ঞানবান৷ পরবর্তীকালে দর্শন-সাহিত্যে জগতজুড়ে প্রভাব বিস্তার করেছেন৷
গত ৯ বছর আগে বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসব কর্তারা ‘ট্যালেন্ট ক্যাম্পাস' নামে একটি বিভাগ চালু করেন৷ উদ্দেশ্য, পৃথিবীর তরুণ মেধাবী, প্রতিভাবান চলচ্চিত্রকারদের একত্র করে চিন্তাভাবনার বিনিময় করা৷ হতে পারে পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রী, শব্দসংযোজন কারিগর, আলোকচিত্রী, সম্পাদক প্রমুখ৷ আসলে যাঁরা সিনেমার সঙ্গে নানাভাবে যুক্ত, তাঁদেরই সমাবেশ, সম্মিলন৷ তাঁদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া যেমন, অন্যদিকে তাঁদের নির্মিত ছবিরও প্রদর্শনী৷
এবারের ট্যালেন্ট ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, আফগানিস্তান সহ দুনিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে ৩৫০ তরুণ প্রতিভাবান চলচ্চিত্রকর্মী যোগ দেন৷ উন্নয়নশীল দেশের পরিচালক, চিত্রগ্রাহক, প্রকৌশলীরা বলেন, সিনেমা নির্মাণে বিস্তর বাধার সম্মুখীন হতে হয়৷ উপরন্তু, স্বাধীন ভাবে কাজ করার অসুবিধা তো আছেই৷ তা সত্ত্বেও , কী করে মিলেমিশে কাজ করতে হয়, কাজের পরিবেশ তৈরি করতে হয়, শিখিয়েছে বার্লিন ট্যালেন্ট ক্যাম্পাস৷
প্রতিবেদন: দাউদ হায়দার, বার্লিন
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন