1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এশিয়ায় মহিলাদের মধ্যে এইডস বাড়ছে

৩০ জুন ২০১০

জাতিসংঘের দপ্তর ইউএনএইডস দপ্তর সোমবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এশিয়ায় মেয়েদের মধ্যে এইডস রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে আগের চেয়ে বেশি৷ এই রোগ প্রতিরোধ করতে প্রতিটি দেশের সরকারকে গ্রহণ করতে হবে বিশেষ পদক্ষেপ৷

https://p.dw.com/p/O6VX
এশিয়ার হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে মহিলা এইডস আক্রান্তদের সংখ্যাছবি: AP

জাতিসংঘ জানিয়েছে, ১৯৯০ সালে এশিয়ায় এইডস রোগে আক্রান্ত মানুষদের মধ্যে শতকরা ১৮ শতাংশই ছিল মহিলা৷ ২০০৭ সালে সেই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৩৫ শতাংশে৷ এশিয়ায় জাতিসংঘের দপ্তর ইউনাইটেড নেশান্স ডেভেলপমেন্ট ফান্ড ফর উইমেন-এর আঞ্চলিক পরিচালক মোনি পিজানি বলেন, এশিয়ার সরকারদের এই রোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের, বিশেষ করে মহিলাদের এইডসের হাত থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব নিতে হবে ৷ এই সমস্যা সমাধানে এখনই দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন৷ কারণ একটি মহিলাকে বাঁচানোর অর্থ হল একটি পরিবারকে বাঁচানো৷

রাজধানী ব্যাংকক থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে পাটায়ায় আয়োজিত একটি সেমিনারে পিজানি একথাগুলো বলেন৷ জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৬ সাল থেকে এশিয়া মহাদেশে মহিলাদের মধ্যে এইডস ছড়িয়ে পড়েছে এই হারে :

AIDS in China Wang Kaijia mit Medizin
এইডস আক্রান্ত এক শিশুছবি: AP

কাম্বোডিয়া – ৪৭ শতাংশ

ভারত – ৩৭ শতাংশ

ইন্দোনেশিয়া – ২১ শতাংশ

মালয়েশিয়া – ১৫ শতাংশ

নেপাল – ২৪ শতাংশ

ফিলিপাইন্স – ৪০ শতাংশ

শ্রীলঙ্কা – ৩৭ শতাংশ

থাইল্যান্ড – ৩৫ শতাংশ

মোনি পিজানি বলেন, এইডস রোগের সংক্রামণ রোধ করতে রাজনৈতিক নেতাদের অবশ্যই যৌন কর্মীদের মানবাধিকারের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে৷ কেননা বহু যৌনকর্মী এই পথে যেতে বাধ্য হয়৷ তাদের এই পথ থেকে বের করে আনার কোন সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেই৷ একজন পুরুষ যদি নিয়মিত যৌনকর্মীদের কাছে যায় তাহলে সে খুব সহজেই তাঁর স্ত্রীকে নানা ধরণের যৌনব্যাধিতে আক্রান্ত করতে পারে৷ শুধুমাত্র সচেতনতার মাধ্যমেই এই রোগকে প্রতিহত করা সম্ভব৷

২০০৮ সালে জাতিসংঘের দেওয়া এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গোটা এশিয়ায় প্রায় এক কোটি মহিলা যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করছে এবং অন্তত সাড়ে সাত কোটি পুরুষ তাদের কাছে নিয়মিত যাচ্ছে৷ একই প্রতিবেদনে জানানো হয় অন্তত ৫০ লক্ষ মহিলাকে তাদের স্বামী এইডস রোগে আক্রান্ত করেন৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদন : আবদুল্লাহ আল-ফারূক