উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বে বিভিন্ন স্থানে ভোটকেন্দ্র দখলের ‘মহোৎসব' চলেছে বলে বিএনপির করা অভিযোগের ব্যাপারে মতামত জানিয়েছেন ডয়চে ভেলের পাঠকরা৷
ডয়চে ভেলের বাংলার ফেসবুক পাতায় পাঠকদের মত জানতে চেয়ে একটি পোস্ট দেয়া হয়৷ সেখানে বিএনপির অভিযোগের পক্ষে-বিপক্ষে বেশ কিছু মন্তব্য এসেছে৷
অনেক পাঠক তাঁর এলাকার ভোটের পরিবেশ নিয়েও মন্তব্য করেছেন৷ যেমন সাদ্দাম হোসেন হৃদয় লিখেছেন, ‘‘কেরানীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ ভোটকেন্দ্রে সহিংসতা হইছে৷ আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রাথীরা ভোটকেন্দ্র দখলে নিয়েছে৷'' ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী থেকে হাবিবুন নবী শাওন লিখেছেন, সেখানে নাকি ভোট ডাকাতি ও ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া হয়েছে৷ মো: কামরুল হাসান লিখেছেন, ‘‘চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ‘প্রত্যাশী আর এ উচ্চ বিদ্যালয়'-এ আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে জোর করে জালভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি প্রথমে ভাঙচুর চালায়৷ তারপর আওয়ামী প্রার্থীর এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে যাচ্ছে৷ স্থানীয় আওয়ামী সমর্থক চেয়ারম্যান নিজ তদারকিতে চলছে জাল ভোট৷ আহহা কি সোনার ছেলেরা?''
মিথুন তালুকদার তার এলাকার নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘‘আমাদের এলাকায় ৩৪টা কেন্দ্রের মধ্যে ২৯টাতে ভোট হইয়া গেছে৷ ২৯টা কেন্দ্রেই সাধারণ লোকের ভোট দেয়া লাগেনি৷ সরকার দলীয় প্রার্থীর লোকজন গিয়ে কেন্দ্রের আশেপাশে অবস্থান করে ইচ্ছেমতো ভোট দেয়া শেষ হইলে তারপর তারা প্রিজাইডিং অফিসারকে বলে গেছে আর যেন ভোট না নেয়া হয়৷ কারণ ভোট শেষ৷ চারটার পর গণনা করতে বলেছে৷''
তবে অনেক পাঠক তাঁর এলাকায় সুষ্ঠুভাবে ভোট হওয়ার খবরও দিয়েছেন৷ যেমন জাহেদ নিজামী লিখেছেন, ‘‘আমার এলাকা অনেক অনেক ভালো৷'' আশিকুর রহমান আশিক জানিয়েছেন, তাঁর এলাকার অবস্থাও ভালো৷ সোহেল ইফতিও মনে করেন, ভোট সুষ্ঠ হয়েছে৷
এদিকে, হারার ভয়ে বিএনপি এমন অভিযোগ করছে বলে মনে করেন আশিকুর রহমান আশিক৷ ‘‘এর আগেও দেখেছি তারা অভিযোগ করেছে যে জায়গায় সেই জায়গাতেই আবার বিএনপি জিতেছে৷ জেতার পরে কিন্তু আর অভিযোগ করেনি৷ তো আমরা বিএনপির চরিএ জেনে গেছি৷ এগুলো সব মিথ্যা কথা, হারার ভয়ে এগুলো বলছে৷''
শিপন মজুমদার অবশ্য নির্বাচন আয়োজন নিয়েই কথা বলেছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘এই হাসির ভোটের কি দরকার ছিল৷ এমপিদের মতো বানিয়ে নিলেই পারতো৷''
সংকলন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ