1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এবারও মুবারক, বেন আলি হলেন না ইয়েমেনের সালেহ

২৩ মে ২০১১

মুবারক, বেন আলি’র পর সালেহ৷ এই অপেক্ষায় ছিল বিশ্ব৷ কিন্তু না৷ এবারও সেটা হলো না৷ নিজের সরে যাওয়ার চুক্তিতে এবারও সই করলেন না ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আলি আব্দুল্লাহ সালেহ৷ এই নিয়ে তিনবারের মতো ঘটলো এই একই ঘটনা৷

https://p.dw.com/p/11LT5
Yemeni President Ali Abdullah Saleh reacts during a rally supporting him, in Sanaa,Yemen, Friday, April 22, 2011. Opponents and supporters of Yemen's embattled president are marching in cities and towns across the nation for rival rallies after Friday prayers. (Foto:Muhammed Muheisen/AP/dapd)
ইয়েমেনের প্রসিডেন্ট আলি আব্দুল্লাহ সালেহছবি: AP

কেন?

প্রেসিডেন্ট সালেহ'র দাবি, তাঁর প্রাসাদে এসে বিরোধীদের চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হবে৷ কারণ তিনি বলেন, চুক্তির পর যে সরকার গঠিত হবে তাতে বিরোধীদের অংশ থাকবে৷ তাই তাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে চুক্তি করতে হবে কেন? কেন তারা সামনাসামনি আসছেন না? তবে সালেহ স্বাক্ষর না করলেও চুক্তিতে সই করেছেন সালেহ'র দলের পাঁচ নেতা৷ এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সালেহ আর চুক্তির প্রস্তাবনাকারী পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সংস্থা জিসিসি'র মহাসচিব আব্দুল লতিফ আল-জায়ানি৷

মধ্যস্থতা সাময়িক বন্ধ

পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর পরিষদ জিসিসি বলে দিয়েছে, তারা মধ্যস্থতা করা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিচ্ছে৷ তবে তারা এখনো আশা করছেন যে, অচিরেই প্রেসিডেন্ট সালেহ চুক্তিতে সই করবেন৷ কেননা এটাই ইয়েমেনের বর্তমান পরিস্থিতি উন্নয়নের সবচেয়ে ভাল উপায় বলে মনে করছে জিসিসি৷

বিরোধীরা দায়ী!

চুক্তির এই পরিণতির জন্য সালেহ উল্টো বিরোধীদের দায়ী করছেন৷ টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট সালেহ বলেছেন, বিরোধীরা যদি তাঁর উপস্থিতিতে চুক্তিতে সই না করে তাহলে দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে৷ এবং এর জন্য বিরোধীরাই দায়ী থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন সালেহ৷

পশ্চিমা কূটনীতিকরা সাময়িক আটক

সালেহ'র সমর্থকরা রবিবার অস্ত্র নিয়ে হাজির হয়েছিল সানা'র আরব আমিরাত দূতাবাসে৷ যেখানে ছিলেন জিসিসি'র মহাসচিব সহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরা৷ তারা যেন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যেতে না পারেন সেজন্যই এই আটকের ঘটনা বলে জানা গেছে৷ পরে ইয়েমেন সরকারের দুটি হেলিকপ্টারে করে জিসিসি মহাসচিব ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিককে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া হয়৷ পরে হেলিকপ্টারে করেই বিমানবন্দের পৌঁছে দেয়া হয় জিসিসি'র মহাসচিবকে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য