1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘এটা’কে সহিংসতা পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে: স্পেন

৬ সেপ্টেম্বর ২০১০

স্পেন ও ফ্রান্সের দক্ষিণে বাস্ক জনগোষ্ঠীর মানুষের বাস৷ গত ৪২ বছর ধরে বাস্কদের জন্য এক স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে আসছে ‘এটা’৷ রবিবার এক ভিডিও বার্তায় তারা অস্ত্রবিরতির ঘোষণা করেছে৷

https://p.dw.com/p/P5Wd
এই ভিডিওতেই যুদ্ধবিরতির কথা বলে ‘এটা’ছবি: AP

গত ৪২ বছরে ‘এটা'র অসংখ্য হামলায় মোট ৮২৯ জন নিহত হয়েছে৷ ইউরোপও ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের তালিকায় ‘এটা'র নাম রয়েছে৷ রবিবার যে ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, তাতে ‘এটা'র পতাকার সামনে ৩ জন সদস্যকে মুখোশ পরা অবস্থায় দেখা যাচ্ছে৷ তাদের মধ্যমণি এক মহিলা বলেছেন, গত কয়েক মাস আগে হিংসাত্মক হামলা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘এটা'৷ তবে এই অস্ত্রবিরতি স্থায়ী না অস্থায়ী, সেকথা তিনি বলেন নি৷ উল্লেখ্য, এর আগে একবার চিরস্থায়ী অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করেও তারপর ২০০৬ সালের ডিসেম্বর মাসে মাদ্রিদ বিমানবন্দরের গাড়ি পার্কিং-এর জায়গায় হামলা চালিয়েছিল ‘এটা', যার ফলে ২ জন নিহত হয়৷ সম্প্রতি স্পেন ও ফ্রান্সের পুলিশের তৎপরতায় ‘এটা'র অসংখ্য সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছে৷ শুধু চলতি বছরেই আটক সদস্যের সংখ্যা ৬৮৷ ফলে সংগঠন বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে৷ তাছাড়া ‘এটা'র নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠন ‘বাতাসুনা' আগামী বছর বাস্ক অঞ্চলের উত্তরে পৌর নির্বাচনে অংশ নিতে চায়৷ এমনই এক প্রেক্ষাপটে রবিবারের এই ঘোষণা শোনা গেল৷

স্পেন সরকার এটা'র অস্ত্রবিরতির ঘোষণা পুরোপুরি নাকচ করে দিয়েছে৷ তাদের মতে, এই ঘোষণা যথেষ্ট নয়৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলফ্রেডো পেরেস রুবালকাবা বলেন, এটা'কে বিশ্বাস করা যায় না৷ তাদের চিরকালের জন্য বোমা ও বন্দুক সহ সব অস্ত্র ত্যাগ করতে হবে এবং হিংসার পথ ছেড়ে দিতে হবে৷ স্পেনের সরকার দীর্ঘদিন ধরে ‘এটা' ও তার নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠন ‘বাতাসুনা'র কাছে এই দাবি করে আসছে৷ এই অবস্থানে সামান্যতম রদবদলও হতে পারে না, বলেন রুবালকাবা৷ এই অবস্থান শুধু সরকারের একার নয় – সংসদে বিরোধী পক্ষ এবং সংবাদ মাধ্যমও একই সুরে এই দাবি জানাচ্ছে৷ বাস্ক অঞ্চলের শিল্প বাণিজ্য সংগঠনও কড়া ভাষায় ‘এটা'র রবিবারের ঘোষণার নিন্দা করেছে৷ গত ফেব্রুয়ারি মাসে ‘বাতাসুনা' হিংসা বর্জন করার ঘোষণা করে ‘এটা'র উদ্দেশ্যেও একই আহ্বান জানায়৷ ২০০৯ সালের অগাস্ট মাসে ‘এটা' সর্বশেষ হামলা চালিয়েছিল৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়