এক ফুটবল কোচের কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত
বুন্ডেসলিগা ভক্তদের জন্য এটাই বাস্তবতা৷ গ্রীষ্মে বোরুসিয়া ডর্টমুন্ড ছাড়ছেন দলটির প্রধান কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ৷ গত সাত বছর ধরে ডর্টমুন্ডের সঙ্গে আছেন তিনি৷ আর এই সময়ের কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত নিয়ে ছবিঘর৷
সবাই যাকে দেখে অভ্যস্ত
২০০৮ সালে বোরুসিয়া ডর্টমুন্ডের সংবাদ সম্মেলনে হাসিমুখে দেখা গিয়েছিল ক্লিন-শেভ করা আর স্যুট পরা ইয়ুর্গেন ক্লপ-কে৷ তখন তাঁকে নিয়ে খুব বড় কোন প্রত্যাশা কেউ করেনি৷ তবে ক্লপ তাঁর ক্লাবকে নিয়ে ইতিহাস গড়েছেন, জার্মান ফুটবল ইতিহাসে তা লেখা থাকবে চিরকাল৷
প্রথম বিজয়
ক্লপ যখন ডর্টমুন্ডের দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তখন দলটির অবস্থা তেমন সুবিধাজনক ছিল না৷ বরং বলা যায়, একটি অবস্থা তৈরির লড়াইয়ে ছিল দলটি৷ আর সেই দলকে ক্লপ জার্মানি ফুটবলের সেরা দলে পরিণত করেন৷ বায়ার্ন মিউনিখকে হটিয়ে ২০১১ সালে বুন্ডেসলিগা শিরোপা জয় করে দলটি৷
তাঁর সবচেয়ে ভালো সময়
সাত বছরে ডর্টমুন্ডকে তিনটি শিরোপা এনে দিয়েছেন ক্লপ৷ ক্লাবটির ভক্তদের কাছে তাঁর সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে ২০১২ সালে ডর্টমুন্ডের একইসঙ্গে বুন্ডেসলিগা এবং জার্মান কাপ জয়৷
আবেগ কখনো আটকে রাখেননি ক্লপ
খেলা চলাকালে সাইড লাইনে দাঁড়িয়ে নিজের মনের অবস্থা কোন রকম রাখঢাক ছাড়াই প্রকাশ করেছেন ক্লপ৷ কখনো চিৎকার, কখনো হাসি৷ দলের অর্জনকে খেলোয়াড়দের মতো উপভোগ করেছেন তিনি৷ চলতি বছরের শুরুতে তিনি বলেন, ‘আমি একজন আবেগী মানুষ, আর এই ক্লাব আমার কাছে অনেক কিছু৷’
শীর্ষ থেকে একধাপ পেছনে
ঘরের মাঠে সাফল্যের পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বড় অর্জন থেকে ২০১৩ সালে মাত্র ৯০ মিনিট পিছিয়ে ছিলেন ক্লপ৷ ওয়েম্বলিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে যায় তাঁর দল৷ আর তখন থেকে বাভারিয়ানরা জার্মান ফুটবলে আবারো আধিপত্য ফিরে পায় আর ডর্টমুন্ড পিছিয়ে পড়তে শুরু করে৷
ভক্তদের পছন্দ
শুধুমাত্র সাফল্য নয়, ক্লপের ব্যক্তিত্বও ডর্টমুন্ড ভক্তদের নজর কেড়েছে৷ ক্লাবটির ইতিহাসে তিনি সবচেয়ে সফল কোচ৷
ডর্টমুন্ড-বায়ার্নের প্রতিদ্বন্দ্বিতা
বুন্ডেসলিগায় যে দু’দলের মধ্যকার খেলা নিয়ে সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা থাকে তারা হচ্ছে বোরুসিয়া ডর্টমুন্ড এবং বায়ার্ন মিউনিখ৷ ক্লপ কোচ হওয়ার পর জার্মান ফুটবলের এই দুই পুরনো শত্রুর মধ্যে শত্রুতা আবার নতুন গতি পায়৷
বিদায়
বুধবার, ১৫ এপ্রিল ডর্টমুন্ড থেকে বিদায়ের ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ৷ ৪৭ বছর বয়সি এই কোচ স্বীকার করেছেন, এই সিদ্ধান্ত নেয়া তার পক্ষে অনেক কঠিন ছিল৷