একুশ শতকের সবচেয়ে প্রাণঘাতী কয়েকটি ভূমিকম্প
গত ১৫ বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছে৷ ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের হিসেবে অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে বেশি প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের তালিকা থাকছে ছবিঘরে৷
পোর্ট অফ প্রিন্স, হাইতি
২০১০ সালের ১২ ডিসেম্বর হাইতিতে ৭.৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে৷ এতে কমপক্ষে তিন লক্ষ ২০ হাজার মানুষ নিহত হয়৷ আহত হয় প্রায় তিন লক্ষ মানুষ৷ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল হাইতির রাজধানী পোর্ট অফ প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার পশ্চিমে৷
আচে, ইন্দোনেশিয়া
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের উপকূলে সমুদ্রগর্ভে সংঘটিত ৯.১ মাত্রার ভূমিকম্প যে সুনামির অবতারণা ঘটায়, তা-তে ১৪ দেশের প্রায় দুই লাখ ৩০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়৷
সিচুয়ান, চীন
২০০৮ সালের ১২ মে চীনের সিচুয়ানে ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানলে প্রায় ৯০ হাজার মানুষ মারা যায়৷ এতে ৫০ লক্ষেরও বেশি ভবন ধসে পড়ে৷ নিহতদের বেশিরভাগই ধসে যাওয়া ভবনের নীচে পড়ে প্রাণ হারায়৷
কাশ্মীর, পাকিস্তান
২০০৫ সালের ৮ অক্টোবর পাকিস্তানের কাশ্মীর অঞ্চলে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ৮৪ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়৷ এছাড়া ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে প্রায় ১,৩০০ জন এবং আফগানিস্তানেও বেশ কয়েকজন নিহত হয়৷
বাম, ইরান
২০০৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইরানের বাম প্রদেশে ৬.৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়৷ এতে ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়৷ আহতের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০ হাজার৷
ফুকুশিমা, জাপান
২০১১ সালের ১১ মার্চ ৯ মাত্রার ভূমিকম্প থেকে সৃষ্ট সুনামি ও তাপরর পারমাণবিক কেন্দ্রে বিপর্যয়ের ঘটনায় প্রায় ২১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়৷
গুজরাট, ভারত
২০০১ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতের গুজরাটে ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রাণ হারায় ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ৷
কাটমান্ডু, নেপাল
চলতি বছর নেপালে ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে৷ ২৫ এপ্রিলের ঐ ভূমিকম্প প্রায় নয় হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়৷ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল কাটমান্ডু থেকে ৮০ কিলোমিটার পশ্চিমে৷
ইয়োগিয়াকার্টা, ইন্দোনেশিয়া
২০০৬ সালের ২৬ মে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পের শিকার হয়ে প্রায় ৫,৮০০ মানুষের প্রাণ যায়৷ আহত হয় প্রায় ৩৬ হাজার৷
পাকিস্তান-আফগানিস্তান
সোমবার (২৬ অক্টোবর, ২০১৫) ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে পাকিস্তানে এখনও পর্যন্ত ২৩০ জন ও আফগানিস্তানে কমপক্ষে ৭৬ জনের প্রাণ হারানোর খবর পাওয়া গেছে৷ আফগানিস্তানে নিহতদের মধ্যে ১২ জন ছাত্রী রয়েছে যারা ভয়ে স্কুল থেকে বের হতে গিয়ে পায়ের নীচে পড়ে মারা যায়৷