একুশ এক করে দিল দুই বাংলার মানুষকে
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১১এরপর বাংলাদেশের বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোলে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ এতে দুই বাংলার রাজনীতিবিদ, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা অংশ নিয়েছেন৷
এদের মধ্যে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষামন্ত্রী আবদুস সাত্তার৷ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘দুই বাংলার ভাষা এক, সংস্কৃতি এক৷ অথচ কাঁটাতারের বেড়া আমাদের পৃথক করে রেখেছে৷ তাই এই দিনটিতে নাড়ির টানে আমরা বাংলার মাটিতে ছুটে আসি৷' লোকসভার সাবেক সদস্য অমিতাভ নন্দী দুই বাংলার মানুষের ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক আরও গভীর করতে পাসপোর্ট-ভিসা পদ্ধতি তুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷
বাংলাদেশের পক্ষে যশোর-১ আসনের সাংসদ শেখ আফিল উদ্দীন বলেন, ‘বয়সের কারণে অনেক ভাষাসৈনিক আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে যাচ্ছেন৷ তাঁদের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে৷' সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকও আলোচনায় অংশ নেন৷
মেহেরপুর সীমান্তেও এধরনের অনুষ্ঠান হয়েছে৷ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে শত শত মানুষ যোগ দেন সেই উৎসবে৷ সেখানে আয়োজিত আলোচনা সভায় মেহেরপুর-১ আসনের সাংসদ জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘দুই বাংলার বাংলা ভাষাভাষী মানুষের আজকের এই উপস্থিতি প্রমাণ করে, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া কোনো ভালোবাসাকে আটকে রাখতে পারে না৷'
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী