1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শান্তি আলোচনার প্রস্তাব

২১ মে ২০১৪

থাইল্যান্ডে সামরিক আইন জারির পর রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন সামরিক বাহিনীর প্রধান৷ তবে পাশাপাশি দেশটির ইউক্রেন বা মিশর হওয়ার আশঙ্কা দূর না হওয়া পর্যন্ত তিনি এক চুলও নড়বেন না৷

https://p.dw.com/p/1C3f0
Thailand Armee verhängt Kriegsrecht 20.05.2014
ছবি: Christophe Archambault/AFP/Getty Images

থাইল্যান্ডে সামরিক আইন জারির পর রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন সামরিক বাহিনীর প্রধান৷ তবে পাশাপাশি দেশটির ইউক্রেন বা মিশর হওয়ার আশঙ্কা দূর না হওয়া পর্যন্ত তিনি এক চুলও নড়বেন না৷

থাই সামরিক বাহিনীর প্রধান প্রায়ুত চান-ও-চা-এর আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই পদত্যাগ করার কথা৷ তবে মঙ্গলবার তিনি বলেছেন, ‘‘আমি পদত্যাগ করার আগে সমস্যার দ্রুত সমাধান হতেই হবে, সমাধান না হলে আমি পদত্যাগ করবো না৷ থাইল্যান্ডকে আমি কখনো ইউক্রন বা মিশরের মতো হতে দেবো না৷ ''

সাত মাসের বেশি সময় ধরে থাইল্যান্ডে চলেছে ইংলাক সিনাওয়াত্রার সরকারবিরোধী আন্দোলন৷ এর ফলে সৃষ্টি হওয়া অচলাবস্থা কাটার আগেই সাংবিধানিক আদালত ইংলাককে ক্ষমতার অপব্যহারের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত করে৷ তারপর থেকে দীর্ঘদিন সামরিক শাসনাধীন থাকা দেশটিতে আসে নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার৷ কিন্তু ইংলাক সমর্থকরা আদালতের রায়ের প্রতিবাদে রাজপথে অবস্থান নিলে আবার সামরিক আইন জারি করা হয়৷

মঙ্গলবারই রাজধানী ব্যাংককসহ দেশের বড় শহরগুলোর রাস্তায় রাস্তায় শুরু হয় সেনা সদস্যদের টহল৷ বেশ কিছু বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করা হয়৷ এ পর্যন্ত ১৪টি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে৷ সম্প্রচার বা প্রকাশনা বন্ধ হয়নি এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরও নেমে এসেছে কড়া বিধিনিষেধ৷ গণমাধ্যমকে সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশের আগ পর্যন্ত বর্তমান সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ছাড়া আর কারো সাক্ষাৎকার নেয়া যাবে না৷ সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য ওয়েবসাইটকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে সহায়ক হতে পারে এমন যে কোনো ধরণের বক্তব্য প্রচারে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷

তবে সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, সব পদক্ষেপই সাময়িক৷ মঙ্গলবার ইংলাক সিনাওয়াত্রার পিউ থাই পার্টি ও তার বিরোধীদের শান্তি আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন জেনারেল প্রায়ুত চান-ও-চা৷ বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী, নির্বাচন কমিশন, সেনেট এবং সেনা প্রতিনিধিদেরও এ আলোচনায় অংশ নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি৷

এদিকে সামরিক আইন জারি হওয়ার পরই থাইল্যান্ডে গণতন্ত্র সুসংহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাতি সংঘ৷ এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনও সেনাপ্রধান প্রায়ুত চান-ও-চা-র প্রতি গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানান৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি, এপি,রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য