একটি গান, একটি ইতিহাস – ‘লিলি মার্লেন’
১৪ এপ্রিল ২০১১দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বেলগ্রেডে জার্মান দখলদার সেনাদের বেতারের সান্ধ্য অনুষ্ঠান প্রতিদিন শেষ হতো ‘দ্যা সং অফ এ ইয়াং সেন্ট্রি' গানটি দিয়ে৷ এই গানই সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা গান ‘লিলি মার্লেন'৷ প্রতিদিন সন্ধ্যায় এই গান বেতারে বেজে ওঠার সাথে সাথে স্তব্ধ হয়ে যেত রণাঙ্গনে গোলাগুলির শব্দ, সৈনিকেরা নামিয়ে নিতেন তাঁদের অস্ত্র৷ লক্ষ সৈনিকের হৃদয় ছুঁয়ে যেত এই গান৷ স্মৃতির পটে ভেসে আসত স্বদেশের মায়াঘেরা পরিবেশ আর ফেলে আসা ভালবাসা৷ নস্টালজিয়ায় মেশানো এই গান প্রথম প্রচারিত হয় ১৯৪১ সালের ১৮ এপ্রিল৷ গেয়েছিলেন লালে আন্ডারসেন৷
এই গান রচনা করেন জার্মান সৈনিক হান্স লাইপ ১৯১৫ সালে, অর্থাৎ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়৷ যুদ্ধ চলাকালীন সময় তাঁর পরিচিত দুই তরুণী লিলি এবং মার্লেনকে মিশিয়ে লিখলেন তাঁর কবিতা ‘লিলি মার্লেন'৷ প্রায় বিশ বছর পর অর্থাৎ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রথম প্রকাশিত হয় এই কবিতা৷ বিখ্যাত সুরকার নর্বার্ট শুলৎসে সুর দেন এই কাব্যে৷ প্রায় আশিটি ভাষায় অনূদিত হয় এই গান৷ লালে আন্ডেরসেনের পর এই গানকে আরও জনপ্রিয় করে তোলেন বিশ্বখ্যাত জার্মান তারকা মার্লেনে ডিট্রিশ৷
বিভিন্ন সংগীত শিল্পী বা গোষ্ঠী বিভিন্ন আঙ্গিকে গেয়েছেন এই গান৷ সুরটি গ্রহণ করেছেন৷ যেমন ‘এইট আর্মি সং' নামের একটি সংগীত দল৷
এখনো বিশ্বের বহু দেশে বহু সংগীত শিল্পী ও সংগীতানুরাগির জন্য ‘লিলি মার্লেন' এক অসাধারণ রচনা৷ জাপানের বিখ্যাত সংগীত তারকা টকিকো কাটো ১৯৮৬ সালে ‘লিলি মার্লেন' গেয়ে জাপানের হিট গানের তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন৷
প্রতিবেদন: মারুফ আহমদ
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন