1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘এইডস মোকাবিলায় চীনকে আরও কাজ করতে হবে’

সাক্ষাৎকার: গাব্রিয়েল ডমিনগেজ/জেডএইচ৭ ডিসেম্বর ২০১৪

চীন সরকারের হিসেবে গত এক বছরে দেশটিতে এইডস রোগীর সংখ্যা বেড়েছে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চীন প্রতিনিধি ব্যার্নহার্ড শোয়ার্টলান্ডার মনে করেন, নতুন এইডস রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ও রোগীদের সেবা দিতে সরকারকে আরও কাজ করতে হবে৷

https://p.dw.com/p/1E07X
China AIDS Parole am Krankenhaus Peking
ছবি: Ruth Kirchner

চীনের ‘জাতীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমিশন' বলছে, অক্টোবর পর্যন্ত চীনে এইডস রোগীর সংখ্যা ছিল চার লক্ষ ৯৭ হাজার৷ এক বছর আগে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংখ্যাটা ছিল চার লক্ষ ৩৪ হাজার৷ অর্থাৎ এক বছরে এইডস রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৬৩ হাজার৷

ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্যার্নহার্ড শোয়ার্টলান্ডার এইডস মোকাবিলায় চীন সরকারের নেয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করেন৷

ডয়চে ভেলে: চীনের এইচআইভি পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনার কী মন্তব্য?

Bernhard Schwartlaender WHO
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চীন প্রতিনিধি ব্যার্নহার্ড শোয়ার্টলান্ডারছবি: WHO

ব্যার্নহার্ড শোয়ার্টলান্ডার: সাধারণ চীনা নাগরিকের মধ্যে এইডস সংক্রমণের হার কম, ০.০৬ শতাংশ৷ তবে যৌনমিলনের মাধ্যমে, বিশেষ করে পুরুষের সঙ্গে পুরুষের এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে এইডস সংক্রমণের হার বাড়ছে৷

এইডস মোকাবিলায় চীন সরকার কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে?

গত প্রায় এক দশকে দেশজুড়ে সাতশো-র মতো নিডল এক্সচেঞ্জমেথাডন ক্লিনিক স্থাপন করেছে সরকার, যেটা খুবই প্রশংসনীয়৷ ফলে ইনজেকটিং ড্রাগ ইউজারদের মধ্যে এইডস সংক্রমণের হার অনেক কমে গেছে৷

চীনের নেয়া মেথাডন থেরাপি যে শুধু দেশটিতে এইডস সংক্রমণের হার কমিয়েছে তাই নয়, বিশ্বের অন্য দেশের জন্যও তারা উদাহরণ সৃষ্টি করেছে৷

এছাড়া যাঁরা এইডস রোগী তাদের চিকিৎসা সেবা এবং ওষুধ দেয়ার ক্ষেত্রেও উন্নতি করেছে চীন৷ তবে আরও উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে৷

নতুন এইডস সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে চীনের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী?

নিরাপদ যৌনমিলন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রচারণা আরও বাড়াতে হবে৷ বিশেষ করে যৌনমিলনের সময় যেন শতভাগ ক্ষেত্রে কনডম ব্যবহার করা উচিত সেটা মানুষকে বোঝাতে হবে৷

চীনের মতো দেশে কারও এইডস হলে তাদের কলংকের চোখে দেখা হয়৷ এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?

চীনা ফার্স্ট লেডি পেং লিউয়ান ও প্রধানমন্ত্রী লি কোচিয়াং, দু'জনেই এইচআইভি-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যক্তিগতভাবে জড়িত৷ বিষয়টি সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি শক্ত বার্তা পৌঁছে দিয়েছে৷ তাই হয়ত চীনের এইডস রোগীরা অন্য দেশের তুলনায় কিছুটা ভালো অবস্থায় আছেন৷ তবে এইডস রোগ সম্পর্কে মানুষকে যথেষ্ট শিক্ষিত করে তুলতে পারলে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য