এইডস প্রতিরোধে নতুন ওষুধে এলো সফলতা
২৪ নভেম্বর ২০১০মারণব্যাধি এইডস বিরোধী প্রচার, জনসচেনতা সৃষ্টি, জন্ম নিরোধক সামগ্রী ব্যবহারে কুসংস্কার অনেকাংশেই অবসান হওয়ায় বিশ্বব্যাপী এইচআইভি/এইডস এর সংক্রমণ হ্রাস পেয়েছে৷ কিছুটা কমেছে এইডস আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও৷ তবে এখনি এতে খুশি হবার কোন কারণ নেই৷ এখন লক্ষ্য রাখতে হবে অর্থনৈতিক সংকটের দিকে৷ এই সংকট আশাভঙ্গের কারণও হতে পারে৷ এসব কথা জানাচ্ছে ইউএন এইডস৷
তাদের হিসাবটি খুবই সরল৷ গত বছরের কার্যপ্রণালীর বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে তারা বলছে, ২০০৪ সালের তুলনায় এইচআইভি সংক্রমণের হার ১৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে৷ ২০০৯ সালে এই এইডস আক্রান্ত ১৮ লাখ মানুষ মারা গেছে৷ ২০০৪ সালে এই অঙ্ক ছিল ২১ লাখ৷ তারা দেখতে পেয়েছে, এইডস আক্রান্ত দেশগুলোর তরুণরা শারীরিক মিলনের জন্য নিরাপদ ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করছে৷ আর এর ফলেই নতুন করে রক্তে এইচআইভি পজিটিভ পাওয়া মানুষের সংখ্যাও কমেছে৷
গত বছর এইচআইভি আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে ২৬ লাখ৷ ইউএন এইডস বলছে, এইডসে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি আফ্রিকার বাইশটি দেশে৷ তবে সেখানেও ২৫ ভাগ সংক্রমণ হ্রাস পেয়েছে৷
যাহোক, ইউএনএইডস যখন এই সংবাদ পরিবেশ করছে, তখন নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন দিয়েছে আরেক সংবাদ৷ চার মহাদেশের বিভিন্ন দেশে এইডস রোগীদের উপর পরীক্ষা চালানো হয়েছে একটি খাবার বড়ির৷ ফলাফল ইতিবাচক৷ এই বড়িটি মূলত সমকামী পুরুষদের জন্য৷ সমকামিতা এইডস ছড়ানোর একটি অন্যতম মাধ্যম বলে দেখা হয়ে থাকে৷ পরীক্ষার আওতায় নিয়ে আসা সমকামী পুরুষদেরকে প্রতিদিন একটি করে এই ধরণের ওষুধ গ্রহণ করার ফলে এইচআইভি সংক্রমণ কমেছে বলেই দাবি৷ তারা বলছেন, পরীক্ষাধীন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে প্রায় ৪৪ শতাংশ সংক্রমণ হ্রাস পেয়েছে৷
মার্কিন বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত এই খাবার বড়ির নাম দেয়া হয়েছে ট্রুভাডা৷ গবেষণাটি পরিচালিত হয় ২০০৭ সালের জুলাই মাস থেকে ২০০৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত৷ ব্রাজিল, একুয়েডর, পেরু, দক্ষিণ আফ্রিকা, থাইল্যান্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সমকামী পুরুষদের উপর চালানো হয় এই এই পরীক্ষা৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নতুন ওষুধের সাফল্যকে সাধুবাদ জানিয়েছেন৷
প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক