এইডস আক্রান্তদের চিকিৎসাসহ কাজের অধিকার নিশ্চিত করার দাবি
২ ডিসেম্বর ২০১০বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ডাব্লিউএইচও বলেছে, এইডস-এইচআইভি এবং মানবাধিকার অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত৷ এবং এই রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা কর্মসূচি আরো অনেক বেশি কার্যকর হবে যদি তাদের মানবাধিকারকে শ্রদ্ধা করা হয়৷ ডাব্লিউ এইচ ও-র নির্বাহী পরিচালক মার্গারেট চ্যান বলেছেন, ‘‘এইচআইভি আক্রান্তদের অধিকারের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে স্বাস্থ্য৷'' তিনি বলেন, ‘‘এইচআইভি আক্রান্তদের শুধু স্বাস্থ্যরক্ষার অধিকার ভোগ করার সুযোগ থাকলেই হবে না, একই সাথে তাদের শিক্ষা, কাজ, বাসস্থান, সামাজিক নিরাপত্তা এবং এমন কি কিছু কিছু ক্ষেত্রে আশ্রয়ের সুযোগ পাবার অধিকারও রয়েছে৷'' চ্যান বলেন, ‘‘এইচআইভি আক্রান্তদের মধ্যে লজ্জার মনোভাব বা তাদের প্রতি বৈষম্য প্রদর্শনই, বিশ্বে তাদের খারাপ চোখে দেখার প্রবণতা অব্যাহত রেখেছে৷
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বলেন, সারা দুনিয়ায় ২০০৯ সালে এইচআইভি পজিটিভ বলে চিহ্নিত মানুষের সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৩০ লাখ৷ এবং বেশিরভাগ অঞ্চলে এইডস রোগীর সংখ্যা স্থিতিশীল থেকেছে৷ তবে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা নিশ্চিত করা গেছে, মোট আক্রান্তদের তিনভাগের একভাগের জন্যে৷ ১৯৮০ র দশকে এই রোগটি সনাক্ত হবার পর থেকে এই পর্যন্ত এইডসে প্রাণ হারিয়েছেন আড়াইলাখেরও বেশি মানুষ৷
মায়ের কাছ থেকে শিশুর শরীরে এইচআইভির সংক্রমণ প্রতিরোধের ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জোর দিয়ে এলেও গত বছর মাত্র শতকরা ৫৩ ভাগ গর্ভবতী নারী এই চিকিৎসা পেয়েছেন৷ এইচআইভি আক্রান্তদের অধিকার রক্ষায় কিছু কিছু বিষয়কে আইনে পরিণত করার আহ্বান জানিয়েছে ডাব্লিউ এইচ ও৷ সমকামী পুরুষদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে সবচেয়ে বেশি৷ আর এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসা চাওয়াটা অত্যন্ত কঠিন একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়৷ বিশ্বে এখনও ৮০টি দেশ রয়েছে যেখানে সমকামিতা বা সমকামী সম্পর্ককে অপরাধ হিসেবে ধরা হয় এবং ছয়টি দেশে এই অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড৷
এছাড়া বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশ এইচআইভি রোগীদের জন্যে ভ্রমণ এবং বসবাসের ওপরে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রেখেছে৷ এদিকে বিশ্ব এইডস দিবসে জাতিসংঘ শিশু তহবিল বলেছে, যদি বিশ্বজুড়ে এইচআইভি প্রতিরোধ, তার চিকিৎসা এবং এর বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়, তাহলে এইচআইভি মুক্ত প্রজন্ম অর্জন সম্ভব হবে৷
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক