1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এইচআইভি সংক্রমণ থেকে ‘আরোগ্য’ লাভ জার্মানিতে

১৬ ডিসেম্বর ২০১০

‘আরোগ্য’ শব্দটি এতোদিন পর্যন্ত এইচআইভি/এইডস এর ধারে-কাছে টেকেনি৷ তবে এবার জার্মান বিজ্ঞানীরা সেই শব্দটিই যোগ করে দিলেন এইচআইভি/এইডস এর সাথেই৷ এইচআইভি আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে সম্পূর্ণ ‘আরোগ্য’ বলে ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা৷

https://p.dw.com/p/QdKT
এইচআইভি মানুষের মৃত্যু ডেকে আনতে পারেছবি: picture-alliance/ dpa

এমন চমৎকার আশাপ্রদ খবর প্রকাশ করলেন বার্লিন শারিটে হাসপাতালের চিকিৎসা বিজ্ঞানী টোমাস শ্নাইডার৷ ‘ব্লাড' নামক সাময়িকীতে প্রকাশ করা হলো এক এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভের কাহিনী৷ সাময়িকীতে বিজ্ঞানীরা লিখেছেন, ‘‘আমাদের এই ফলাফল থেকে বেশ জোর দিয়েই বলা যায় যে, এইচআইভি থেকে এই রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন৷''

জানা গেছে, লিউকেমিয়া এবং এইচআইভি দু'টিতেই আক্রান্ত ছিলেন এক রোগী৷ মূলত লিউকেমিয়া থেকে তাঁকে মুক্ত করার জন্যেই তাঁর অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপিত করেন বার্লিনের চিকিৎসকরা৷ ২০০৭ সালে অন্য একজন ব্যক্তির কাছ থেকে অস্থি মজ্জা নিয়ে এই রোগীর দেহে তা বসিয়ে দেওয়া হয়৷ এরপর থেকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয় রোগীটিকে৷ অবশেষে প্রায় চার বছর পর সেই রোগীর দেহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা নিশ্চিত হয়েছেন যে, তাঁর দেহের কোথাও আর লুকিয়ে নেই এইচআইভি ভাইরাস৷

Flash-Galerie HIV / Aids 2010
ছবি: picture-alliance/dpa

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই কাজে রোগীর দেহ থেকে অস্থি মজ্জা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়ে সেখানে বসানো হয়েছিল ঠিক একই রক্তের গ্রুপ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তির অস্থি মজ্জা৷ তবে প্রতিস্থাপনের পর প্রতিস্থাপিত অস্থি মজ্জাকে রোগীর দেহের সাথে তাল মিলিয়ে সেখানে কর্মতৎপর হতে কয়েক মাস সময় প্রয়োজন হয়৷

অবশ্য জার্মান চিকিৎসকদের এই সাফল্যকে এখনও পুরোপুরি স্বীকৃতি দিতে নারাজ এইডস-এর ভাইরাস আবিষ্কারে ভূমিকা পালনকারী বিজ্ঞানী ড. রবার্ট গ্যালো৷ মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান ভাইরোলোজি বিভাগের গবেষক গ্যালো বলেন, ‘‘এটা বাস্তবসম্মত নয় এবং এটা মানুষের মৃত্যু ডেকে আনতে পারে৷'' তিনি আরো বলেন, ‘‘এটা এক ধরণের আরোগ্য হতে পারে৷ তবে এ ব্যাপারে এখনই নিশ্চিত হওয়া যায় না যতক্ষণ না সেই রোগী মারা যান এবং তাঁর দেহে মরণোত্তর পরীক্ষা চালানো হয়৷''

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক