1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এইচআইভি এইডস এখনও চীনবাসীদের অনেকের কাছে ট্যাবু

৩১ জুলাই ২০১০

১৯৯০ সালের দিকে চীনে এইডস সম্পর্কে মানুষের মনে এই ধারণাই ছিল যে এ অসুখ কেবল বিদেশীদেরই হয়৷ সেই ধারণায় কিছুটা পরিবর্তন এলেও এইডস রোগী বা এইচআইভি পজিটিভ ব্যক্তিরা এখনও সেখানে বিভিন্ন রকম সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/OYlF
এইডস সচেতনতা বাড়াতে বেইজিং-এ বিলবোর্ডছবি: AP

বেইজিং এ সংক্রামক রোগের চিকিৎসার জন্য রয়েছে সরকারি হাসপাতাল ইউ আন৷ সেখানে নার্সরা এমন তাড়াহুড়ো করে নিচে হলের দিকে এগিয়ে যান, দেখলে মনে হয় যেন রোগীরা ডাক্তারের জন্য অপেক্ষা করছে৷ আর নিচতলার পেছনের একটি ঘরে বিশাল একটি পোস্টারের সামনে বসে ছিলেন দুয়ানওয়াই৷ ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে ২৮ বছর বয়সি দুয়ান একজন৷ এরা ‘কোয়ায়েট গার্ডেন' নামের এক প্রকল্পের আওতায় এইচআইভি সংক্রমিতদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন৷

দুয়ান বলেন, ‘মানুষ যখন এইচআইভি পরীক্ষার জন্য কিংবা পরীক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করেন তখন এখানে বসে কিছু খেতে পারেন কিংবা এইচআইভি নিয়ে শুধু কথাও বলতে পারেন৷ আসলে এটা ছাড়া অন্য কোনো জায়গাও নেই যেখানে কথা বলা যায়৷ একমাত্র এখানেই আমরা আমাদের তথ্য ও অভিজ্ঞতা আদান-প্রদান করতে পারি৷'

দুয়ান নিজেও এইচআইভি পজিটিভ৷ ৪ বছর আগে তিনি সেটা জানতে পারেন৷ তিনি চান অন্যান্যরা এইডস এর ব্যাপারে সচেতন হোক৷ অথচ এখন পর্যন্ত তার নিজের মা-বাবাকেই বলেননি যে তিনি এইচআইভিতে আক্রান্ত৷ তিনি বলেন, ‘এই কলঙ্ক বয়ে বেড়ানো খুবই কষ্টকর৷ সময় আসলে আমি তাদের জানাবো৷ তারা এটা জানলে আমার চেয়ে বেশি কষ্ট পাবে৷ যতদিন পারি এই কষ্ট থেকে তাদের দূরে রাখতে চাই৷'

গত বছর ইউএন এইডস এর একটি সমীক্ষায় চীনে এইডস রোগীদের সম্পর্কে মানুষের যে মনোভাব স্পষ্ট হয়েছে তা দুঃখজনক৷ চীনে এই কর্মসূচির পরিচালক মার্ক স্টিলিং বলেন, ‘দেশটিতে এইডস রোগী ও এইচআইভি আক্রান্তদের এখনও একঘরে করে রাখা হয়৷ তারা চাকরি হারায় ও তাদের সঙ্গে সামাজিকভাবে ব্যবধানও সৃষ্টি করা হয়৷'

তিনি আরও বলেন, শতকরা ৪০ থেকে ৫০ ভাগ মানুষের এইডস সম্পর্কে ভুল ধারণা আছে৷ তারা এইডস বা এইচআইভি রোগীদের চপস্টিক ব্যবহার করতে চাননা৷ তাদের কাছ থেকে দূরে দূরে থাকেন৷ এমনকী তাদের হাতও স্পর্শ করেননা৷ কিন্তু তারা জানেননা তাদের এই ধারণা ভুল৷

তবে এর মানে এই নয়যে, বেইজিং এ এইডস রোগীদের জন্য কিছুই করা হয়নি৷ এই কয়েক বছর আগেই চীনের জাতীয় টিভিতে এ নিয়ে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান দেখানো হয়৷ বতর্মানে চীন কর্তৃপক্ষ এই রোগটিকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক