উৎসবটা কি আর ফিরবে না?
৩০ এপ্রিল ২০১৫নির্বাচন কাভার করা সাংবাদিক ইশরাত জাহান ঊর্মি ডয়চে ভেলের ‘দ্য বব্স' বিজয়ী অনলাইন পোর্টাল ‘উইমেন চ্যাপ্টার'-এ নিজের অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন৷ তিনি বলছেন, ‘‘...ভোট এদেশের অধিকারহীন মানুষদের কাছে একটা উৎসব ছিল৷ সাত-সকালে রান্না সেরে, সবচেয়ে ভালো পোশাকটা পরে ঘরের বউ-ঝিরা ভোট দিতে যেতেন৷ ছেলেরা-ছেলেরা, মেয়েরা-মেয়েরা রিকশায় চেপে ভোটকেন্দ্রগুলো ঘোরাঘুরি করতো৷ সেই উৎসবটা কি আর কোনোদিন ফিরে আসবে না?'' ঊর্মির এই লেখাটি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন আঙ্গুর নাহার মন্টি৷
এদিকে, সামহয়্যার ইন ব্লগে রেজা ঘটক লিখেছেন, ‘‘ভোটে অংশগ্রহণ করেও বিএনপি একটি অপকৌশল নিয়ে নির্বাচন বর্জন করে সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে তামাশা করেছে৷ যে দুই লাখের বেশি ভোটার তাদের সমর্থন দিয়েছে, তারা তো কেউ অপরাধ করেনি৷ ভোট বর্জনের সোজা মানে দাঁড়াল সেই দুই লাখের বেশি সমর্থকদের মতামতকেও বিএনপি একেবারে আমলে নেয়নি – যা সাধারণ ভোটারদের জন্য একটি অশনিসংকেত৷''
নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা বিএনপির অতীতের উদাহরণ তুলে আনছেন৷ এর সমালোচনা করে ওমর শিহাব ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘আওয়ামী লীগের যেসব সদস্য এখন বিএনপি আমলের নির্বাচনের কারচুপির উদাহরণ দিচ্ছেন তাদের জন্য বলি এটি খুব একটা কাজের কিছু না৷ আপনি যদি কোনো দলকে সমর্থন করেন তাহলে আপনার উচিত আপনার দলের সমস্যাগুলো ঠিকঠাক করে করে দলের রাজনীতির মান আরো উপরের দিকে নিয়ে যাওয়া৷ বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি হলো একটি বুদবুদ৷ এটি আজ হোক কাল হোক ফেটে বিলুপ্ত হয়ে যাবে৷ যতদিন আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ সদস্যদের মূল রাজনৈতিক কর্মসূচি হবে ‘আমরা বিএনপি'-র চেয়ে তুলনামূলকভাবে ভালো কাজেই আমাদের ভোট দাও' ঠিক ততদিনই বিএনপি টিকে থাকবে৷''
সংকলন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন