উন্নয়নের মূল ধারায় আনতে হবে প্রতিবন্ধীদের - নোমান খান
৩ আগস্ট ২০১০প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে নিবেদিত বাংলাদেশের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেন্টার ফর ডিজঅ্যাবিলিটি ইন ডেভেলপমেন্টের (সিডিডি) নির্বাহী পরিচালক এ এইচ এম নোমান খান এশিয়ার নোবেল নামেই বিশেষভাবে পরিচিত ফিলিপাইনসের রামন ম্যাগসেসে পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন৷ মনোনীত হওয়ার পর তিনি তাঁর প্রতিক্রিয়ায় ডয়চে ভেলেকে বলেন, এই পুরস্কার তাঁর জন্য যেমন আনন্দের তেমনই প্রতিবন্ধীদেরও গুরুত্ব বাড়িয়ে দিল৷
‘তবে সিডিডি প্রচলিত ধারায় কাজ করেনা৷ তারা মনে করে উন্নয়ন সবার জন্য৷ তাই যেকোন উন্নয়নে প্রতিবন্ধীদের বাদ দেওয়া চলবেনা৷ দেশের ১কোটি ৯৬ লক্ষ প্রতিবন্ধীকে উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে৷' বলেছেন ম্যাগসেসে বিজয়ী সমাজসেবী৷
সমাজসেবী এবং চিন্তাবিদ নোমান খান জানান, ‘আমরা সরাসরি প্রতিবন্ধীদের কাছে সেবা এবং উপকরন পৌছে দিয়ে থাকি৷ পরিবার বা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন না করে প্রতিবন্ধীদের তাঁদের পরিচিত পরিবেশে রেখেই সেবা প্রদান করা হয়৷' এজন্য সারা দেশে তাঁদের সংস্থার নয়'শ সেবা কর্মী রয়েছেন৷ রয়েছে আঞ্চলিক কেন্দ্র এবং মোবাইল ইউনিট৷
১৯৯৫ সাল থেকে সিডিডি বাংলাদেশে কাজ করছে৷ সাভারে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়৷ সেখানে প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রয়োজনীয় কৃত্রিম পা থেকে নানা উপকরণ তৈরি এবং বিতরনের ব্যবস্থা রয়েছে৷ ব্যবস্থা আছে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে যাঁরা কাজ করবেন তাঁদের প্রশিক্ষণের৷
নেমান খান বলেন এই পুরস্কার তাঁর দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিল৷ তিনি আমৃত্যু প্রতিবন্ধীদের জন্য কাজ করে যাবেন৷
প্রতিবছর ছয়টি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ফিলিপাইনসের রামন ম্যাগসেসে ফাউন্ডেশন এই বিশিষ্ট পুরস্কার দিয়ে থাকে৷ বাংলাদেশ থেকে এর আগে এই পুরস্কার পেয়েছেন তাহেরুন্নিসা আবদুল্লাহ, ড. মুহাম্মদ ইউনুস, ফজলে হাসান আবেদ, ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী, মতিউর রহমান, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, অ্যাঞ্জেলা গোমেজ, মো. ইয়াসিন ও ফাদার উইলিয়াম টিম৷
এবছর বাংলাদেশের এ এইচ এম নোমান খান ছাড়াও চীন, জাপান ও ফিলিপাইনস থেকে আরও ছয়জন এই পুরস্কার পেয়েছেন৷ তাঁরা হলেন, জাপানের তাদাতোশি আকিবা, ফিলিপাইনের ক্রিস্টোফার বারনিডো এবং ভিক্টোরিয়া কার্পিও-বারনিডো, চীনের হু দাইশান, পান ইউ এবং ফু কিপিং৷
৩১ আগস্ট ম্যানিলায় কালচারাল সেন্টার অব দ্য ফিলিপাইন্সে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের সকলের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে৷
প্রতিবেদন : হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়