1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উদ্ধার হয়নি বাস, ৪০ যাত্রীর সলিল সমাধির আশঙ্কা

১১ অক্টোবর ২০১০

ঢাকার অদূরে আমিনবাজারের তুরাগ নদীতে পড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী বাসটি ১৮ ঘন্টায়ও উদ্ধার হয়নি৷ ৪০ জন যাত্রীর সলির সমাধির আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ তুরাগ নদীর তীরে এখন উদ্বিগ্ন আত্মীয় স্বজনের ভিড়৷

https://p.dw.com/p/Parc
ফাইল ফটোছবি: DW

কেউ কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন প্রিয়জনের মৃত্যুর আশঙ্কায়, আবার কেউ অপেক্ষা করছেন উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা নিয়ে৷ ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বৈশাখী পরিবহণের বাসটির সামনের একটি চাকা ফেটে যায় রোববার দুপুর ১২টার দিকে আমিনবাজারে সালেহপুর ব্রীজে ওঠার সময় ৷ এরপর মুহুর্তের মধ্যে ছিটকে পড়ে তুরাগ নদীতে৷ বাসটিতে কমপক্ষে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন ৷ উদ্ধার করা হয় ১০ জনকে৷ তবে এঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়৷ তাঁর নাম মনোয়ারা খাতুন৷ তিনি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন৷ বাসের ৪০ জন যাত্রী এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৷

রাতেও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত ছিল৷ ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে নৌবাহিনীর ডুবুরিরা উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন৷ অংশ নেন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও৷ নৌবাহিনীর স্যোনার মেশিন ও সার্চলাইট দিয়ে তল্লাশি চালিয়েও রাতে বাসটির কোন সন্ধান মেলেনি৷ সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ ৪০ যাত্রীর কারোরই৷

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার জানান, সোমবার সকাল থেকে আবার উদ্ধার অভিযান জোরদার করা হয়েছে৷ তুরাগ নদীর গভীরতা আর তীব্র স্রোতের কারণে উদ্ধার অভিযানে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানান তিনি৷

১৮ ঘন্টায়ও বাসটি উদ্ধার বা সনাক্ত না হওয়ায় নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনদের ভিড় বাড়ছে তুরাগের তীরে৷ তাঁদের কান্না আর আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে ঊঠছে৷ কেউ কেউ নিজেরাই নৌকা আর ইঞ্জিন বোট নিয়ে নিখোঁজ স্বজনদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন তুরাগ নদীতে৷ পরিস্থিতি সামলাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়