উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে প্রভাবশালী নারী
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের উদ্ভট আচার-আচরণ থেকে শুরু করে তাঁর রকেট পরীক্ষা অবধি অনেক কিছু শোনা যায়৷ কিন্তু তাঁর পারিবারিক জীবন সম্পর্কে আমরা কতটুকু জানি?
খুব কমই জানা
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের প্রতিটি কার্যকলাপের উপর নজর রাখে আন্তর্জাতিক মিডিয়া৷ কিন্তু তাঁর পারিবারিক জীবন, বিশেষ করে তাঁর স্ত্রী সম্পর্কে সারা বিশ্বে যত না আগ্রহ, তার চেয়ে অনেক কম খবরাখবর পাওয়া যায়৷
কে এই মহিলা?
২০১১ সালে কিম জং-ইলের মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসেন কিম জং-উন৷ তার এক বছর পরে বিভিন্ন আলোকচিত্রে তাঁকে এক মহিলার সঙ্গে দেখা যেতে থাকে৷ সঙ্গে সঙ্গে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়, কে এই মহিলা?
‘হিজ ওয়াইফ, কমরেড রি সোল-জু’
২০১২ সালের ২৫শে জুলাই তারিখে উত্তর কোরিয়ার মিডিয়া জানায় যে, কিমের সঙ্গিনী হলেন তাঁর পত্নী ও কমরেড রি বা লি সোল-জু৷ ২০০৯ সালে উভয়ের বিবাহ হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়৷
চটজলদি বিয়ে?
রি সোল-জু গায়িকা ছিলেন৷ দক্ষিণ কোরিয়ার খবর অনুযায়ী উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-ইল তাঁর স্ট্রোক হওয়ার পর ২০০৮ সালে কিম জং-উন আর রি সোল-জুর বিয়ের ব্যবস্থা করেন৷
আট মাস গায়েব
২০১৬ সালে প্রায় আট মাস ধরে রি সোল-জুকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি৷ কিম নিজের পিসেমশাই সহ একাধিক নিকটাত্মীয়কে মৃত্যুমুখে পাঠিয়েছেন; কাজেই এ সময় গুজব শুরু হয় যে, কিম হয়ত তাঁর নিজের পত্নীকেও ‘সরিয়ে দিয়েছেন’৷ ছবিতে উত্তর কোরিয়ার পপ গোষ্ঠী মোরানবং ব্যান্ড৷
গুজব গুজবই
আবার একটি ছবি প্রমাণ করে যে, রি সোল-জু বেঁচেই আছেন এবং বহাল তবিয়তে আছেন৷ উত্তর কোরীয় বিমানবাহিনীর জঙ্গি বিমানের একটি মহড়া উপলক্ষ্যে কিম ও তাঁর স্ত্রীকে আবার জনসমক্ষে দেখা যায়৷ এখানে দু’জন একটি শিশু শিবিরে৷
একটি কন্যা
এর আগে ২০১২ সালেও রি সোল-জু হঠাৎ গায়েব হয়ে গিয়েছিলেন৷ পরে মার্কিন বাস্কেটবল তারকা ডেনিস রডম্যান জানান যে, রি একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন৷ রডম্যান ২০১৩ সালে উত্তর কোরিয়ায় গিয়ে কিমের সঙ্গে মিলিত হন৷
রহস্যময় দেশ
উত্তর কোরিয়াকে দুনিয়ার সবচেয়ে গোপন রাষ্ট্র বলে গণ্য করা হয়৷ কিম জং-উনের নিজের জীবন সম্পর্কেও বহির্বিশ্বে ঔৎসুক্যের শেষ নেই৷ কিন্তু সেই কৌতূহল মেটানোর কোনো পন্থা নেই – মাঝেমধ্যে যেটুকু খবর পাওয়া যায়, সেটুকু ছাড়া৷
সুইজারল্যান্ডে পড়াশুনা
উত্তর কোরিয়ার নেতা হওয়ার আগে কিম জং-উন সুইজারল্যান্ডে পড়াশুনো করেছেন৷ মাত্র ২৭ বছর বয়সে তিনি দেশ চালানোর দায়িত্ব নেন৷