ফুফার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
১৩ ডিসেম্বর ২০১৩শুক্রবার বিশেষ সামরিক ট্রাইব্যুনালে দেশদ্রোহীতার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে জানিয়ে জ্যাং সং থায়েকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার খবরও জানানো হয়৷ কেসিএনএ এ খবর প্রচার করার পর উত্তর কোরীয় সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশ৷ ৬৭ বছর বয়সি থায়েক ছিলেন কিম জং উনের বাবা কিম জং ইলের ভগ্নিপতি৷ উনকে দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে তুলে আনার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল তাঁর৷ তবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর দাবি করা হয়েছে, থায়েকের উচ্চাকাঙ্খা হয়ে পড়েছিল আকাশচুম্বী৷ বেসরকারিভাবে দেশের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর হয়েও সন্তুষ্ট ছিলেন না৷ তাই দুর্নীতিতে জড়িয়ে, রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার মতো নানা ধরণের কাজ করে যাচ্ছিলেন থায়েক৷ নারীলিপ্সা, মাত্রাতিরিক্ত নেশা করার অভিযোগও আনা হয় তাঁর বিরুদ্ধে৷ কেসিএনএ জানিয়েছে, সব অভিযোগই ট্রাইব্যুনালে স্বীকার করেছেন জ্যাং সং থায়েক৷ গত ৩ ডিসেম্বর জাতীয় প্রতিরক্ষা কমিশনের সহসভাপতি এবং ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে তাঁকে সরানো হয়৷ ৯ দিনের মধ্যেই তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো৷
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যমে জ্যাং সক থায়েককে হাতকড়া পরা অবস্থায় ট্রাইব্যুনাল থেকে বেরিয়ে আসতে দেখানো হয়৷ তাঁর দু পাশে ছিলেন দুজন সেনা কর্মকর্তা৷ একজন ঘাড় ধরে নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁকে৷ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারি হার্ফ থায়েককে মৃত্যুদণ্ড দেয়া সম্পর্কে বলেছেন, ‘‘এটি উত্তর কোরিয়ার সরকারের ভয়ংকর নৃশংসতার আরেকটি নজির৷'' জাপান আর দক্ষিণ কোরিয়াও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে৷
এসিবি/জেডএইচ (এএফপি, রয়টার্স)