1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফুফার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১৩ ডিসেম্বর ২০১৩

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় জ্যাং সং থায়েকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে৷ দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ এ খবর নিশ্চিত করেছে৷

https://p.dw.com/p/1AYiu
Nordkorea Chang Sung-taek Hinrichtung Prozess
ছবি: Reuters

শুক্রবার বিশেষ সামরিক ট্রাইব্যুনালে দেশদ্রোহীতার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে জানিয়ে জ্যাং সং থায়েকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার খবরও জানানো হয়৷ কেসিএনএ এ খবর প্রচার করার পর উত্তর কোরীয় সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশ৷ ৬৭ বছর বয়সি থায়েক ছিলেন কিম জং উনের বাবা কিম জং ইলের ভগ্নিপতি৷ উনকে দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে তুলে আনার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল তাঁর৷ তবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর দাবি করা হয়েছে, থায়েকের উচ্চাকাঙ্খা হয়ে পড়েছিল আকাশচুম্বী৷ বেসরকারিভাবে দেশের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর হয়েও সন্তুষ্ট ছিলেন না৷ তাই দুর্নীতিতে জড়িয়ে, রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার মতো নানা ধরণের কাজ করে যাচ্ছিলেন থায়েক৷ নারীলিপ্সা, মাত্রাতিরিক্ত নেশা করার অভিযোগও আনা হয় তাঁর বিরুদ্ধে৷ কেসিএনএ জানিয়েছে, সব অভিযোগই ট্রাইব্যুনালে স্বীকার করেছেন জ্যাং সং থায়েক৷ গত ৩ ডিসেম্বর জাতীয় প্রতিরক্ষা কমিশনের সহসভাপতি এবং ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে তাঁকে সরানো হয়৷ ৯ দিনের মধ্যেই তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো৷

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যমে জ্যাং সক থায়েককে হাতকড়া পরা অবস্থায় ট্রাইব্যুনাল থেকে বেরিয়ে আসতে দেখানো হয়৷ তাঁর দু পাশে ছিলেন দুজন সেনা কর্মকর্তা৷ একজন ঘাড় ধরে নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁকে৷ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারি হার্ফ থায়েককে মৃত্যুদণ্ড দেয়া সম্পর্কে বলেছেন, ‘‘এটি উত্তর কোরিয়ার সরকারের ভয়ংকর নৃশংসতার আরেকটি নজির৷'' জাপান আর দক্ষিণ কোরিয়াও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে৷

এসিবি/জেডএইচ (এএফপি, রয়টার্স)