1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘যুদ্ধ চায় না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র'

২০ এপ্রিল ২০১৭

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেন, তাঁর দেশ পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ বাড়ানোর নতুন উপায় খুঁজছে৷ অন্যদিকে নিকি হেলি জানিয়েছেন, পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়াতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র৷

https://p.dw.com/p/2bZMv
Nordkorea provoziert mit weiterem Raketentest
ছবি: Gettty Images/AFP/E. Jones

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হেলি এ মুহূর্তে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রধানের গুরুদায়িত্বও পালন করছেন৷কোরীয় উপদ্বীপে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর ঘোষণার পর থেকে যখন উত্তেজনার পারদ চড়ছে, তাঁর কণ্ঠে তখনই যেন একটু নরম সুর৷ উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশ্যে তিনি বললেন, ‘‘আমরা যুদ্ধ বাঁধাতে চাই না, সুতরাং আমাদের ঘাড়ে যুদ্ধ চাপিয়ে দেবেন না৷ বল এখন তাদের কোর্টে৷  তাদের এটা নিয়ে তাদের খেলা করা উচিত নয়৷''

Infografik Timeline Nordkoreas Raketentests 5.4.2017 ENG

হেলি জানান, উত্তর কোরিয়া যে সম্প্রতি একটি ব্যর্থ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে, তার নিন্দা জানাতে একটি খসড়া প্রস্তাব প্রণয়ন করছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ৷ কূটনীতিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থাগুলো জানাচ্ছে, খসড়াটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগেই প্রণয়ন করা হচ্ছে, তাই সেখানে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কোরীয় উপদ্বীপকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগ থাকবে৷ এছাড়া উত্তর কোরিয়া যদি পারমাণবিক কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত না নেয়, তাহলে দেশটির ওপর আরো কঠোর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের হুমকির উল্লেখও থাকবে৷ জানা গেছে, চীন ইতিমধ্যে প্রস্তাবনায় স্বাক্ষর করতে সম্মত হয়েছে৷ তবে রাশিয়া জানিয়েছে, তারা স্বাক্ষর করবে না৷

এদিকে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন জানিয়েছেন, তাঁর দেশ পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার ওপর আরো চাপ বাড়ানোর উপায় খুঁজছে৷ তিনি জানান, সন্ত্রাসবাদে মদত দেয় এমন রাষ্ট্রগুলোর তালিকায় উত্তর কোরিয়ার নাম আবার ফিরিয়ে আনার কথাও ভাবা হচ্ছে৷ ২০০৮ সালে এ তালিকা থেকে উত্তর কোরিয়ার নাম বাদ দেয় যুক্তরাষ্ট্র৷ তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ আশা করেছিলেন, এর ফলে পিয়ংইয়ংকে পারমাণবিক কর্মসূচি প্রত্যাহারের আলোচনায় আরো উদ্যোগী করা যাবে৷ কিন্তু কর্যত তা হয়নি৷

এ মুহূর্তে তিনটি দেশকে সন্ত্রাসে মদতদাতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ সেই তালিকায় আছে ইরান, সিরিয়া এবং সুদান৷

এসিবি/ডিজি (এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য