উত্তপ্ত বাহারাইন, লিবিয়ায় ক্ষোভ দিবস
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১বাহারাইনের পরিস্থিতি
সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীরা ভিড় করেছিল রাজধানী মানামার পার্ল চত্বরে৷ কিন্তু ভোররাতে হঠাতই সেখানে পুলিশি হানা৷ বিক্ষোভরতদের দমন করতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে দাঙ্গা পুলিশ, করেছে লাঠিচার্জ৷ একাধিক বার্তা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ অভিযানের সময় কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছে৷ আহত কয়েকশত৷ বাহারাইনের সেক্যুলার ওয়াড পার্টির নেতা ইব্রাহিম শরিফ এই প্রসঙ্গে বলেন, কোন রকম সতর্কবাতা ছাড়াই বিক্ষোভকারীদের উপর হামলা চালায় পুলিশ৷ অথচ সারা দিন ধরে শোনা যাচ্ছিল, আমরা আরো ২৪ ঘণ্টা সময় পাবো৷
কিছুক্ষণ আগে বাহারাইনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে সেনাবাহিনী৷ এজন্য সাধারণ মানুষকে মানামার কেন্দ্রীয় চত্বর থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সরকার৷ এদিকে, রাজধানীর সড়কগুলোতে ইতিমধ্যে সেনা ট্যাংক অবস্থান নিয়েছে৷ বিভিন্ন সামরিক যানও টহলে অংশ নিয়েছে৷
লিবিয়ায় বিক্ষোভ
মুয়াম্মার আল গাদ্দাফির ৪১ বছরের শাসনামলের ইতি টানতে চায় আন্দোলনকারীরা৷ সেদেশের এক বিরোধী ওয়েবসাইটের বরাতে জানা যাচ্ছে, সরকার বিরোধী আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছে চারজন৷ লিবিয়া আল-ইয়ুম নামক এই সাইটের দাবি, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালানো হলে এই প্রাণহানি ঘটে৷ এজন্য সরকারকে দায়ী করেছে বিরোধীরা৷ এই ঘটনায় এক নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করেছে সরকার৷ তবে, লিবিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরকারপন্থী বিক্ষোভকারীদের দেখানো হয়েছে৷ লিবীয়রা টুইটারে দাবি করেছে, সরকার ইন্টারনেটে উপর কড়াকড়ি আরোপের চেষ্টা করছে৷ তাছাড়া সেদেশে আল-জাজিরার সম্প্রচারেও বিঘ্ন ঘটানো হচ্ছে৷
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
বাহারাইনে সহিংসতার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ নাগরিকদের অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট হতে বাহারাইনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সেদেশ৷ এছাড়া সংস্কার কর্মসূচি এগিয়ে নিতে বাহারাইনকে অনুরোধ করেছে ব্রিটিশ সরকার৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন