সংকট নিরসনের প্রার্থনা
১৬ অক্টোবর ২০১৩সকালে জাতীয় ঈদগায় সমবেত মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন৷ এরপর মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য এবং শান্তি কামনার সাথে প্রাধান্য পায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি৷ ঈদের জামায়াতের ইমাম মুফতি মহিবুল্লাহ দেশে রাজনৈতিক সম্প্রীতির জন্য প্রার্থনা করেন৷ নামাজ শেষে মুসল্লিরা জানান, এবার ঈদ যেন হয় রাজনৈতিক সম্প্রীতির৷ তাঁরা বলেন, ঈদের পর দেশের পরিস্থিতি কোন দিকে যায় তাঁরা তা নিয়ে আতঙ্কিত৷ তাঁরা চান, দেশের রাজনৈতিক দলগুলো যেন আলাপ আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছান৷ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদেও ৪টি ঈদের জামাতেও একই প্রার্থনা করা হয়েছে৷
এদিকে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়৷ সেই জামায়াতের ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ ডয়চে ভেলেকে টেলিফোনে জানান, দেশের এখন সবচেয়ে বড় সংকট রাজনৈতিক সংকট৷ ঈদের দিনেও সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ঈদের পর কী হবে৷ তাই ঈদের জামায়াতে তিনি দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য মোনাজাত করেছেন৷ মুসল্লিরা প্রার্থনা করেছেন, দেশ যেন সংঘাতের হাত থেকে রক্ষা পায়৷ তিনি আরও বলেন, কোরবানির ঈদে পশু কোরবানির মত রাজনৈতিক দলগুলো যদি তাদের অযৌক্তিক অবস্থানকে কোরবানি দেয় তাহলে দেশ সংকটমুক্ত হবে৷
ঢাকায় ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিরোধী দলের জন্য সব সময় আলোচনার দরজা খোলা আছে৷ তারা চাইলে তিনি ও তাঁর দল আলোচনা করতে রাজি আছেন৷ রাজনৈতিক বিষয় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করতে তাঁর কোনো আপত্তি নেই৷ তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই৷ নির্বাচন যথাসময়ে হবে৷ আর ২৪শে অক্টোবরের পর দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং শান্ত থাকবে৷
বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে সরকারকে আলাপ-আলোচনার উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷ তিনিও বলেছেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান সম্ভব, তবে উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকেই৷ তিনি বলেন বিএনপি কোনোভাবেই একতরফা নির্বাচনে অংশ নেবেনা৷ নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে৷ তাঁর মতে, দেশের যা পরিস্থিতি তাতে এই ঈদে মানুষের মনে আনন্দ নেই৷
এদিকে সকালে ঈদের নামাজের পর মুসলমানরা পশু কোরবানি দেন৷