ইয়েমেনে রিপাবলিকান গার্ডের একাংশের স্বপক্ষ ত্যাগ
২৯ মে ২০১১ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আলি আব্দুল্লাহ সালেহর ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর দাবিতে দেশটিতে চলমান বিক্ষোভ প্রতিবাদে রিপাবলিকান গার্ডের একটি ব্রিগেটের স্বপক্ষ ত্যাগের ঘটনা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে৷ এদিকে আবিয়ান প্রদেশের রাজধানী জিনজিবার যারা দখল করে নিয়েছে, তাদেরকে আল কায়েদার বন্দুকধারী বলে মনে করা হচ্ছে৷
একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, সন্দেহভাজন আল কায়েদা যোদ্ধারা জিনজিবার শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে সমর্থ হয়েছে৷ এবং প্রায় সব সরকারি স্থাপনার দখল নিয়েছে৷ শুধু ২৫ ব্রিগেডের সদরদপ্তর তারা দখল করতে পারেনি৷ ঐ সদরদপ্তরটি জঙ্গিদের দখলে রয়েছে বলে ঐ নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বন্দুকধারীরা ব্রিগেডের সদস্যদের সঙ্গে রবিবার সকালেও লড়াইয়ে লিপ্ত ছিল৷
ব্রিগেডের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘‘আমরা শেষ বুলেটটি থাকা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবো৷ যারা আমাদের সহকর্মীদের হত্যা করেছে ঐসব বন্দুকধারীদের কাছে আমরা আত্মসমর্পণ করবো না৷''
শহরটিতে শুক্র এবং শনিবারও তুমুল লড়াই চলেছে বলে সেখানকার অধিবাসীরা জানিয়েছেন৷ তারা আরো বলেন, যেসব সৈন্য আত্মসমর্পণ করেছিল, বন্দুকধারীরা তাদেরকে হত্যা করে এবং সেখানকার অধিবাসীরা তাদেরকে সমাহিত করতেও পারেনি৷
দেশটির রিপাবলিকান গার্ডের স্বপক্ষ ত্যাগকারী ব্রিগেডটিই প্রথম, যারা এলিট বাহিনীর মধ্যে প্রথম স্বপক্ষ ত্যাগ করলো৷ ইয়েমেনের রিপাবলিকান গার্ড পরিচালনার দায়িত্বে আছে প্রেসিডেন্ট আলি আব্দুল্লাহ সালেহর ছেলে৷ তিন মাস ধরে ইয়েমেনে প্রচণ্ড বিক্ষোভের মুখেও, সালেহর টিকে থাকার মূল শক্তি ঐ রিপাবলিকান বাহিনী৷
এদিকে ইয়েমেনের একজন মানবাধিকার কর্মী বলেন, রবিবার প্রাদেশিক রাজধানী ডামারে নবম ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইব্রাহিম আল-জাইফির আহ্বান কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীর সামনে পড়ে শোনানো হয়েছে৷ এছাড়া শক্তিশালী হাশিদ উপজাতীয় মিত্রের শেখ সাদেক আল-আহমার রিপাবলিকান গার্ডদেরকে, সালেহকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের আহ্বান জানিয়েছেন৷ অথচ এই আল-আহমারের সৈন্যরাই গত সপ্তাহে সালেহ সৈন্যদের সহায়তা দিয়েছে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে৷ ঐ লড়াইয়ে প্রাণ হারায় ১২৪ জন৷
ওদিকে ইয়েমেন থেকে ৩ জন ফরাসি নাগরিক নিখোঁজ হয়েছে বলে রবিবার প্যারিসে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে৷ নিখোঁজ ২ জন পুরুষ ও একজন নারীর সবাই একটি উন্নয়ন সাহায্য সংস্থায় কর্মরত ছিলেন৷
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই