1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইয়েমেনে আবারো সংঘর্ষের খবর

১২ ফেব্রুয়ারি ২০১০

ইয়েমেনে যুদ্ধবিরোতি ঘোষণার কয়েক ঘন্টা পর আবারো সংঘর্ষের খবর৷ দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, সর্বশেষ এই সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে কয়েকজন সেনা৷

https://p.dw.com/p/Lzln
ফাইল ফটোছবি: picture-alliance / dpa

যুদ্ধবিরতির আহ্বান কয়েক ঘন্টাও টিকলো না৷ ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আলী আব্দুল্লাহ সালেহ বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে বিদ্রোহী শিয়া গোষ্ঠীর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছেলেন৷ এই আহ্বানের প্রতি সম্মান জানিয়ে, শিয়া নেতা আবদেল মালেক আল-হুথিও তার যোদ্ধাদের এই ঘোষণাকে সম্মান জানানোর নির্দেশ দেন৷

কিন্তু তা বোধহয় স্থায়ী হলনা৷ ইয়েমেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বিদ্রোহী শিয়ারা শুক্রবার যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করেছে৷ দেশটির উত্তরাঞ্চলে তাদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছে কয়েকজন সরকারি সেনা৷ আল-আরাবিয়া টেলিভিশন জানিয়েছে এই তথ্য৷

বিরোধপূর্ণ সাদা প্রদেশে সেনা অভিযানের দায়িত্বে থাকা জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল-কুশি জানিয়েছেন, বিদ্রোহীরা তাঁর উপরেও হামলা চালিয়েছে৷ তিনি বলেন, আমি শিয়াদের এক হত্যা চেষ্টা থেকে বেঁচে গেছি৷ তারা আমরা গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল৷

অবশ্য এর আগে, সেনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেলেন, বিদ্রোহীরা উত্তরাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় যুদ্ধ আপাতত বন্ধ রেখেছে৷ এমনকি বন্ধ করে দেয়া বিভিন্ন রাস্তাও খুলে দিতে শুরু করে শিয়া বিদ্রোহীরা৷ কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতি হঠাৎ পাল্টে যায়৷

এদিকে, ছয় বছর ধরে চলা যুদ্ধ আসলেই বন্ধ হচ্ছে কিনা তা নিয়ে দ্বিধার মধ্যে রয়েছে ইয়েমেনি সেনা বাহিনীর অনেক কর্মকর্তা৷ আর তাই এখনো অনেক এলাকায় সরকারি সেনারা সতর্কাবস্থায় রয়েছে বলে প্রকাশ৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছু্ক এমনই এক সেনা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, আমরা আমাদের অবস্থান ধরে রেখেছি এবং আঙুল ট্রিগারেই আছে৷

প্রসঙ্গত, গত প্রায় ৬ বছর ধরে ইয়েমেনের সেনাবাহিনী উত্তরে শিয়া জাইদি সম্প্রদায়ের হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে৷ এই সংঘর্ষ থামাতে বারবার অস্ত্রবিরতির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, কিন্তু তাতে তেমন কোন কাজ হয়নি৷ সৌদি ভূখণ্ডে একাধিক হামলার ফলে সম্প্রতি সৌদি আরবের বিমানবাহিনী সীমান্ত পেরিয়ে বিদ্রোহীদের উপর হামলা করে বলেও শোনা গেছে৷ ইরানও এই সঙ্কটে জড়িয়ে পড়েছে৷ তেহেরান থেকে অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ ও প্রচারণা সহ বিভিন্ন রকম সাহায্য পাচ্ছে শিয়া বিদ্রোহীরা৷

অবশ্য শুধু শিয়া বিদ্রোহী নয়, আল-কায়দা জঙ্গিদেরও নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে ইয়েমেন৷ গত ডিসেম্বরের ২৫ তারিখ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েটগামী একটি বিমান বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে এক নাইজেরিয় নাগরিক৷ এই হামলার সকল আয়োজন করা হয় ইয়েমেন থেকে৷ আর তাই পশ্চিমা বিশ্ব ইয়েমেনের বর্তমান অবস্থা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক