1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইস্তানবুলের পোড়োবাড়ি

৯ জানুয়ারি ২০১৭

ইস্তানবুল এক আশ্চর্য শহর, যেখানে শহরের মধ্যেই এক মহাদেশ থেকে আরেক মহাদেশে যাওয়া যায়৷ আবার সেই শহরে একটি একশ' বছরের পুরনো পোড়ো বাড়ি সারিয়ে, সাজিয়ে-গুছিয়ে, তার দাম দ্বিগুণ করে ফেলা যায়৷

https://p.dw.com/p/2VVeW
28.11.2012 DW Euromaxx Haus Istanbul 1

পোড়োবাড়ি থেকে রোজগার

ইস্তানবুল হলো বিশ্বের একমাত্র মহানগরী, যা দু'টি মহাদেশে অবস্থিত, এশিয়া আর ইউরোপ৷ ইস্তানবুলের বাসিন্দারা রোজ এই বৈপরীত্য অনুভব করেন৷ বালাৎ এলাকাটি শহরের ইউরোপীয় অংশে৷ কেন্দ্রীয় অবস্থিতি আর বিভিন্ন পর্যটক আকর্ষণের কাছাকাছি হওয়া সত্ত্বেও এলাকাটির অবস্থা ক্রমেই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে৷ সম্প্রতি লোকে আবার পুরনো বাড়িগুলোকে কিনে সেগুলো সারিয়ে নিতে শুরু করেছে৷ তুর্কি স্থপতি হাকান আলডোগান তাদেরই একজন৷ 

আলডোগানের জন্ম ইস্তানবুলে৷ ২০০৯ সালে তিনি এই পাঁচতলা বাড়িটি কেনেন প্রায় এক লাখ ইউরো মূল্যে, তারপর ৬০,০০০ ইউরো খরচ করে সেটিকে পুরোপুরি সারিয়েছেন৷ আলডোগান ডেনমার্কে স্থাপত্য নিয়ে পড়াশুনো করেন ও পরে যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করেছেন৷ প্যারিসে তিনি প্রখ্যাত ফরাসি স্থপতি জঁ নুভেল-এর সঙ্গে কাজ করেন৷ তিনি তাঁর ২০০ বর্গমিটার আয়তনের বাসভবনটিতে বাস করতে শুরু করেন ২০১২ সালের এপ্রিল মাস থেকে৷ তাঁর অফিস একতলাতে৷

আলডোগান বলেন, ‘‘বহুদিন আমার নিজের কোনো বাড়ি ছিল না, তাই আমি সব কিছু খুব নিজস্ব করতে চেয়েছিলাম৷ সব কিছু হবে আমার নিজের ডিজাইনের, এই ছিল আইডিয়া৷ কাজেই আমরা অন্য ধরনের সব খুঁটিনাটি, বাছা বাছা আসবাব, নতুন আর পুরনো মিলিয়ে বাড়ি সাজিয়েছি খুবই নিজস্ব ভাবে৷ শেষমেষ যখন কাজ শেষ হলো, তখন দেখে মনে হবে না যে, এক্ষুণি শেষ হয়েছে, বরং যেন বহুদিন ধরে মানুষ এখানে বাস করছে৷''

পুরনো বাড়ি, নতুন ডিজাইন

প্রতিটি ঘরে নিজের ডিজাইন করা আসবাব৷ বেডরুমে একটা অদ্ভুত ধরনের চেস্ট অফ ড্রয়ার্স৷ আলডোগান জানালেন, ‘‘আমি একটা পুরনো জিনিসের দোকানে এটা দেখেছি৷ বাকসোগুলো একটার ওপর আরেকটা রাখা ছিল৷ আমার মনে হলো, এভাবে তো এগুলো ব্যবহার করা যাবে না৷ কাজেই আমার পার্টনারের সঙ্গে আলোচনা করলাম, ভাবলাম, একটা মেটাল সিস্টেম তৈরি করলে কেমন হয়? তাহলে বাকসোগুলোকে ফ্রেমের মধ্যে ঢুকিয়ে ড্রয়ারের মতো টেনে বার করা যাবে৷ সত্যিই সেটা করা সম্ভব হয়েছে৷''

বাড়ির নকশাও এই এলাকার মতো: প্রতি তলায় মাত্র একটি করে কামরা৷ কাজেই সৃজনশীল হতে হবে৷ আলডোগান বললেন, ‘‘গোড়ায় আমি আরো সৌখীন সিঁড়ি রাখতে চেয়েছিলাম৷ পরে দেখলাম বাড়িতে জিনিসপত্র রাখার জায়গা নেই৷ তখন এই সিঁড়ি আর বাক্স বা আলমারির কমবিনেশন তৈরি করার কথা ভাবি৷ দেখলে প্রথমে সিঁড়ি বলে মনে হবে না৷ একটু ঘুরে যেতে হবে, যা খুব ভালো৷ এ পর্যন্ত কোনো বিপদ ঘটেনি৷ আশা করি, সেরকমই থাকবে৷''

ছাদের বারান্দা থেকে দুই মহাদেশের একটা প্যানোরামা দেখতে পাওয়া যায়৷ আলডোগানের অনেক বন্ধু ইতিমধ্যে কাছাকাছি বাড়ি বানিয়েছেন৷ এরা সকলে নয়া ইস্তানবুল আর এই এলাকার ভবিষ্যতে বিশ্বাস করেন৷ আলডোগানের ভাষ্যে, ‘‘এটা হচ্ছে বিশ্বের একমাত্র শহর যেখানে দু'টি মহাদেশ পরস্পরের পাশে রয়েছে, যেখানে রোজ এক মহাদেশ থেকে আরেক মহাদেশে যাওয়া যায়৷ সব পাহাড়গুলো ইতিহাসে ভরা, রোমানদের ইতিহাস, অটোমান সাম্রাজ্য, হালের তুর্কি৷ এটা সত্যিই অনন্য৷ অন্য কোথাও এটা নেই৷ একটা আশ্চর্য৷''

আলডোগান বালাতে বাড়ি কিনে ব্যবসাবুদ্ধি দেখিয়েছেন৷ একশ' বছরের পুরনো বাড়ির দাম এতোদিনে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে৷

শ্যারন ব্যারকাল/এসি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান