ইসলামিক স্টেটের ভয়ংকর আত্মঘাতী গাড়িবোমা
মোসুল শহর নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর বিপুল পরিমাণ গাড়িবোমা উদ্ধার করেছে ইরাকি বাহিনী৷ কোনটা ছিল বিস্ফোরকভর্তি, আবার কোনটা প্রস্তুতির প্রাথমিক পর্যায়ে৷ সেগুলো এখন সাজিয়ে রাখা হয়েছে শহরটির ফেডারেল পুলিশ দপ্তরের সামনে৷
গাড়ি বনাম গাড়িবোমা
সাধারণ মালবাহী ট্রাক, কোনো কোনো ক্ষেত্রে যাত্রিবাহী গাড়িও ব্যবহার করা হতো গাড়িবোমা তৈরির জন্য৷ ভেতরের যন্ত্রপাতি ঠিক থেকে বাইরেটাকে মুড়ে দেয়া হতো পুরু ইস্পাতে৷ উদ্দেশ্য ছিল বন্দুকের গুলি থেকে ভেতরের আত্মঘাতী চালককে রক্ষা করা৷
এড়াতে হবে ড্রোন
জঙ্গিদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে প্রায়ই চালকবিহীন বিমান বা ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালাতো মার্কিন সেনারা৷ গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই যাতে ধরা না পড়তে হয়, সেজন্য গাড়িগুলোকে রং করা হতো সাধারণ গাড়ির মতো৷ কখনও লাল রং, কখনও সাদা দিয়ে ঢেকে দেয়া হতো ইস্পাতের আবরণ৷
অস্বাভাবিক গতি
গাড়ির যন্ত্রপাতিতে কিছুটা পরিবর্তন এনে সেগুলোকে দেয়া হতো অস্বাভাবিক গতির সুবিধা৷ পাশাপাশি, বেশিরভাগ গাড়িরই সামনের অংশ এমনভাবে তৈরি করা হতো, যাতে যে কোনো বাধা ভেঙে গাড়িগুলো এগোতে পারে সামনে৷
কী ধরনের বিস্ফোরক?
বোমা তৈরিতে ব্যবহার করা হয় নানা ধরনের রাসায়নিক পদার্থ৷ সবচেয়ে বেশি গাড়িতে পাওয়া গেছে ক্লোরিন গ্যাসের উপস্থিতি৷
প্রচণ্ড ধ্বংস ক্ষমতা
ব্যাপক আকারে বিস্ফোরণ ঘটানোর ক্ষমতা আছে এই গাড়ি বোমার৷ এক একটি গাড়িতে যে পরিমাণ বিস্ফোরক মজুদ করা যায়, তাতে দুই তিনটে বাড়ি উড়িয়ে দেয়া সম্ভব বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা৷
আরো গাড়িবোমার মজুদ
মোসুল শহরে ইরাকি সেনা যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে স্নাইপার আর গাড়িবোমা হামলাই ছিল আইএস জঙ্গিদের মূল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা৷ ইরাকি বাহিনী আশংকা করছে এখন শহরের বিভিন্ন ভবনের গ্যারেজে বিপুল পরিমাণ গাড়িবোমা থাকতে পারে৷
গাড়িবোমার প্রদর্শনী!
উদ্ধার করা গাড়িবোমাগুলো রাখা হয়েছে মোসুলে ইরাকি পুলিশের সদরদপ্তরের সামনে৷ যে কেউ চাইলেই দেখে আসতে পারেন ভয়ংকর সেই গাড়িগুলো৷ তবে পুলিশের নিয়মিত পাহারা অবশ্য থাকছেই৷