ইসরায়েল থেকে দেশে ফিরলেন তুর্কী হিরোরা
৩ জুন ২০১০জাহাজে থাকা প্রায় ৪'শ৬০ জন তুর্কী নাগরিককে তুরস্কে ফিরিয়ে আনা হয়েছে৷ নিহত ৯ জনের মৃতদেহও বিমানে করে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে৷ দেশে ফিরে আসা তুর্কীদের শুভেচ্ছা জানান তুরস্কের উপ-প্রধানমন্ত্রী বুলেন্ট আরিন্ক এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা৷ উপ-প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের কূটনীতি সফল হয়েছে৷ তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী নিহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইসরায়েল৷ হামলায় ৯ জনের নিহত হবার কথা জানিয়েছে ইসরায়েল৷
বৃহস্পতিবারই নিহতদের শেষকৃত্য শুরু হয়েছে তুরস্কে৷ শোকাহত ইস্তাম্বুলবাসীরা নিহতদের কফিন বহন করে৷ তুরস্ক এবং ফিলিস্তিনের পতাকা দিয়ে নিহতদের কফিন ঢাকা ছিল৷ ৮ জনের শেষকৃত্য বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়, বাকি একজনের শেষকৃত্য হবে শুক্রবার৷
বুধবার মধ্যরাতের পরে ইস্তাম্বুলের কেন্দ্রস্থলের তাকসিম স্কোয়ারে ফিরে আসা তুর্কী কর্মীদের নিয়ে এক বিশাল মিছিল বের করা হয়৷ কয়েক হাজার মানুষ এই মিছিলে যোগ দেয়৷ অনেকেই ফিলিস্তিনি এবং তুর্কী পতাকা নাড়তে থাকে এই সময়৷ 'ইনসান ইয়ারদিন ভাকফি' নামের একটি তুর্কী ইসলামি ত্রাণ সংস্থা এই মিছিলের আয়োজন করে৷ গাজার ত্রাণবাহী জাহাজের প্রধান ব্যয়ভার যারা বহন করেছিল তাদের মধ্যে এই সংস্থাটি অন্যতম৷
এদিকে অবরুদ্ধ গাজা অভিমুখী জাহাজে থাকা জার্মান নাগরিকদের মধ্যে, দু'জন আইন প্রণেতাসহ পাঁচজন জার্মান নাগরিক , জার্মানির রাজধানী বার্লিনে ফিরে এসেছেন বলে, জার্মান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে৷ বাকি ৬ জনের ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে বলেছেন, মুক্তি পাওয়া পাঁচ জন আহত হয়েছিলেন তবে এখন সুস্থ রয়েছেন৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভেস্টারভেলে বলেন, আশা করা হচ্ছে, ইসরায়েলে থাকা জার্মান কূটনীতিকদের সঙ্গে বাকি ছয়জন জার্মান নাগরিকের দেখা করার অনুমতি দেবে ইসরায়েল৷
ওদিকে মানবিক সাহায্য বহনকারী গাজা অভিমুখী জাহাজে ইসরায়েলি হামলার পর বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠা সত্ত্বেও, ইসরায়েল গাজায় অবরোধ অব্যাহত রাখার প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেছে৷ ঘটনাটি নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠনের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল৷ এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন গাজার ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেয়ার জন্যে আবারও ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷
প্রতিবেদন : ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা : দেবারতি গুহ