ইসরায়েলের দুঃখপ্রকাশ ‘গ্রহণযোগ্য’ নয় : ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ
১১ মার্চ ২০১০বৃহস্পতিবার গাজায় এক সংবাদ সম্মেলনে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া জানান, ইসরায়েল ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ আবারো জোরদার করলে, এহেন দখলদারদের সঙ্গে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ কোন আলোচনাই আর ‘গ্রহণযোগ্য' নয়৷ এদিকে, আরব লিগের প্রধান আমর মুসা বলেছেন, ‘‘প্যালেস্টাইনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা করতে চাইলে ইসরায়েলকে তার নতুন বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হবে''৷
অন্যদিকে, অধিকৃত পূর্ব-জেরুজালেমে ১,৬০০ নতুন বাড়ি নির্মাণে ইসরায়েলের আঞ্চলিক কাউন্সিলের ঐ ঘোষণার নিন্দা জানিয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব৷ তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলের এ চকিত সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘‘নতুন বসতি নির্মাণের জন্য ইসরায়েলের এহেন একটা সিদ্ধান্ত ইসরায়েল এবং প্যালেস্টানের মধ্যকার আস্থার ওপর নতুন করে আঘাত আনলো''৷
তাই বাইডেন'এর কথায়, ‘‘এর ফলে দু'দেশের মধ্যে সম্ভাব্য শান্তি আলোচনা শুরুর ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে বাধ্য''৷ জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন'এর কথায়, ‘‘এটা সবদিক থেকেই আন্তর্জাতিক নীতিমালার পরিপন্থী৷'' এছাড়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বলে প্রকাশ৷
এখানেই শেষ নয়, ব্রাজিল সফররত জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে বলেছেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন'এর সফরকালে ইসরায়েলের এ ঘোষণা ‘ভুল সময়ে ভুল পদক্ষেপ''৷ ভেস্টেরভেলের এ মন্তব্যে সায় দেন প্রধান ফিলিস্তিনি আলোচক সায়েব এরেকাত৷ একইসময়ে ভেস্টারভেলের ব্রাজিলীয় মিত্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী চেলসো আমোরিম বলেন, ‘‘ইসরায়েলের এ সিদ্ধান্তে গভীরভাবে ব্যথিত হয়েছে ব্রাজিল''৷
তাই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু ইতিমধ্যে এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করলেও, আরব লিগের নেতাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, ‘‘ইসরায়েল সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে, শান্তি আলোচনায় যোগ দেবেন না প্যালেস্টাইন''৷ অথচ দু'দিন আগেই তিনি বলেছিলেন, ‘‘এ কথাগুলো আমি সরাসরিভাবে ইসরায়েলকে বলতে চাই ৷ আমি বলতে চাই যে, এবার শান্তি স্থাপনের সময় এসেছে৷ সময় এসেছে দ্বিজাতি তত্ত্ব মেনে নেওয়ার''৷
কিন্তু, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক ঐ ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপনের স্বপ্নকে আবারো যে ক্ষতবিক্ষত করে তুলেছে - তা বলাই বাহুল্য৷
প্রতিবেদক : দেবারতি গুহ
সম্পাদনা : সঞ্জীব বর্মন