1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইলিশের জিআই স্বীকৃতি: দাম বাড়বে না কমবে?

৮ আগস্ট ২০১৭

ইলিশ এখন বাংলাদেশের ‘ভৌগলিক নির্দেশক' বা জিআই পণ্য হিসেবে পৌঁছাবে নানা দেশে৷ মৎস্য অধিদপ্তরের আবেদনে দেশের ঐতিহ্যের ধারক-বাহক জাতীয় মাছ ইলিশ জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধন পাচ্ছে৷ এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে চলছে আলোচনা৷

https://p.dw.com/p/2hsX5
Bangladesch Hilsa Fisch
ছবি: Imago/UIG

গত দু'মাসে ইলিশ মাছ নিয়ে কারো আপত্তি না থাকায় ‘জিআই' পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর৷ শিগগিরই মৎস্য অধিদপ্তরের কাছে এ সংক্রান্ত সনদ হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে তারা৷

জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের আবেদনে মৎস্য অধিদপ্তর জানায়, ১৮২২ সাল থেকে ইলিশ বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও কৃষ্টির সঙ্গে জড়িয়ে আছে৷ অর্থনীতি, কর্মসংস্থান ও আমিষ জাতীয় খাদ্যে এ মাছের ভূমিকা রয়েছে৷

 এই খবরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ইতিবাচক ও নেতিবাচক মন্তব্য উঠে এসেছে৷ কেউ বলছেন, এর ফলে ইলিশের দাম বেড়ে যাবে, আবার কেউ বলছেন এই স্বীকৃতিতে আদৌ কোন লাভ আছে কি? তবে বেশিরভাগ মানুষই খুশি হয়েছেন এতে৷ তাই এ সংক্রান্ত সংবাদও শেয়ার করেছেন ফেসবুক পাতায়৷

পলাশ মাহবুব ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘ইলিশ এখন শুধুই বাংলাদেশের৷ সারা বিশ্বে আমাদের (জিআই) পণ্য হিসেবে পরিচিতি পাবে ইলিশ৷''

খায়রুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘জামদানির পর এবার বাংলাদেশের ইলিশ মাছ ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে৷ এর ফলে ইলিশ বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে সারা বিশ্বে স্বীকৃতি পেল৷''

 মুজাহিদুল ইসলাম অবশ্য ইলিশ ধরার উপর কঠোর আইন আরোপের দাবি জানিয়েছেন৷ তিনি লিখেছেন,‘‘ইলিশ মাছ এক বছর ধরা যাবে, আরেক বছর ধরা নিষেধ – এই ধরনের কঠোর আইন করা দরকার৷ যে বছর ধরা হবে – তা হিমায়িত করে পরের বছর বাজারে ছাড়া উচিত৷ এতে বড় সাইজের ইলিশ পাওয়া যাবে এবং উৎপাদন বহুগুণ বাড়বে৷ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে৷ শুধু প্রথম যে বছর ধরা হবে না – সেই বছর ইলিশ না হয় না খেলাম৷ পরবর্তী বছর থেকে ইলিশের অভাব হবে না৷''

 সাংবাদিক সুমন মাহবুব লিখেছেন,‘‘ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম৷ বাংলাদেশে বিশ্বের মোট ৭৫ শতাংশ ইলিশ আহরিত হয়৷ এছাড়া ১৫ শতাংশ মিয়ানমার, ৫ শতাংশ ভারত ও ৫ শতাংশ অন্যান্য দেশের৷''

শাহিন লিখেছেন, ‘‘ইলিশ আমার বাপ, দাদার, ১৪ গোষ্ঠীর সম্পত্তি! তাই জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই৷ কিন্তু আফসোস একটাই, বিশ্বের শতকরা ৭৫ শতাংশ ইলিশ এদেশে উৎপাদন হলেও এদেশের শতকরা ১৫% মানুষ ইলিশ চোখেই দেখে না, খাওয়া তো দূরের কথা!''

সাবু শাহাবুদ্দীন লিখেছেন, ‘‘ইলিশ মাছের জি.আই. পাওয়া ভালো কথা৷ তবে কারেন্ট জাল বানানোর কারখানা বন্ধ করা না গেলে এই খুশি বেশিদিন থাকবে না৷''

ফরহাদ সবুজ অনেক নেতিবাচক খবরের মধ্যে এই খবরটিকে সুসংবাদ হিসেবেই দেখছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘এই খুন খারাপির মধ্যে একটা সুসংবাদ, বাংলাদেশের ইলিশ মাছ জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে৷''

অন্যদিকে, শরিফুল ইসলাম লিখেছেন, এই সুযোগে এখন দেশের বাজারে ইলিশের দাম আরও বেড়ে যাবে৷

সংকলন: অমৃতা পারভেজ

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান