ইরানে আটক দু’জন জার্মান সাংবাদিক দেখা করেছেন পরিবারের সঙ্গে
২৮ ডিসেম্বর ২০১০জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে এই ব্যাপারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহায়তার জন্যে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷
আটক দুই জার্মান সাংবাদিকের সঙ্গে কোথায় দেখা হলো তাদের পরিবারের সদস্যদের?
তাবরিজ শহরে কারাবন্দি রাখা হয়েছে ঐ দুই সাংবাদিককে৷ তেহরান থেকে তাবরিজ শহরে গিয়েই দেখা করেছেন পরিবারের সদস্যরা৷ শহরটি রাজধানী তেহরান থেকে ৫৩০ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমে অবস্থিত৷ অক্টোবর মাসের দশ তারিখে গ্রেপ্তার হবার দুই মাস ১৭ দিন পরে তাদেরকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হলো৷ তেহরানের একজন সরকারি কর্মকর্তা মঙ্গলবারে এই খবর দিয়েছেন৷ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রামিন মেহমানপারাস্ত্ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘গতকাল তারা তেহরান থেকে তাবরিজে যান এবং আটক দুইজনের সঙ্গে দেখা করেন৷''
এই সাক্ষাতের ব্যাবস্থায় সক্রিয় ভূমিকা যাঁরা পালন করলেন
প্রথমেই বলতে হয়, জার্মানির পক্ষ থেকে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে৷ অক্টোবরে এই দুইজন জার্মান সাংবাদিক তেহরানে গ্রেপ্তার হবার পর থেকেই জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে থেকে ইরানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ আর এই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হবার ব্যাবস্থা করতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী আকবর সালেহি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে এই ব্যাপারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহায়তার জন্যে তাঁকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন৷ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রামিন মেহমানপারাস্ত্ বলেন, তাবরিজে যাবার আগে দুই জার্মান নাগরিকের পরিবারের সদস্যরা ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন৷ এই সাক্ষাতের ব্যাবস্থা করতে তিনি ‘অত্যন্ত সক্রিয়' ভূমিকা রেখেছেন৷
আটক সাংবাদিকদের মুক্তি এবং তাদেরকে জার্মানিতে ফেরতের ব্যাপারে ইরান কিছু বলেনি
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আটক দুই সাংবাদিকের দেখা হবার পরে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভেস্টারভেলে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালেহির প্রতি আহ্বান জানানোর পরেই ‘‘ইরানে গ্রেপ্তারকৃত দুই জার্মান সাংবাদিকের তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার ব্যাপারটি সম্ভব হয়েছে৷'' ইরান প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছে যে, আটক দুইজন, পর্যটক ভিসা নিয়ে ইরানে ঢুকেছে এবং সাংবাদিকের প্রয়োজনীয় পরিচয়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে৷
প্রতিবেদন:ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা:আব্দুল্লাহ আল-ফারূক