1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ইরানের বিক্ষোভ ফালতু’, মন্তব্য আহমাদিনেজাদের

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১

ইরানের বিক্ষোভকে নিয়ে শুরু হল চাপানউতোর৷ একদিকে ওবামার সমর্থন বিক্ষোভকারীদের পক্ষে৷ আর অন্যদিকে আহমাদিনেজাদের প্রতিক্রিয়া ‘সব ফালতু’৷ মুসাভি আর কারৌবি-র মৃত্যুদন্ডের দাবি উঠেছে ইরানি সংসদে৷

https://p.dw.com/p/10HfJ
মাহমুদ আহমাদিনেজাদছবি: AP

বিক্ষোভ আসলে কোথাও পৌঁছচ্ছে না৷ এ বিক্ষোভ অর্থহীন

মন্তব্য ইরানের কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদের৷ মিশর থেকে বিপ্লবের ধারণা নিয়ে গত সপ্তাহ থেকে বিক্ষুব্ধ ইরান মঙ্গলবারও বিক্ষোভে উত্তাল ছিল৷ পুলিশের গুলিতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে এদিন৷ বিক্ষোভ দমনে রীতিমত শক্তিপ্রয়োগ করে চলেছে প্রশাসন৷ এরই মধ্যে মাহমুদ আহমাদিনেজাদের মন্তব্য শোনা গেল বিক্ষোভ নিয়ে৷ বললেন, এই বিক্ষোভ সম্পূর্ণ অর্থহীন৷ কারণ এর কোন লক্ষ্য নেই৷ এ উদ্দেশ্যবিহীন৷ এর আগে ইরানের প্রশাসন মঙ্গলবার সারাদিন ধরেই পশ্চিম বিশ্বের ওপর বিক্ষোভের যাবতীয় দায়ভার চাপিয়ে বিবৃতি দিয়েছে৷ বারবার বলা হয়েছে, বহিঃশত্রুর ষড়যন্ত্রেই ঘটছে এই বিক্ষোভ৷

NO FLASH Unruhen in Iran
মঙ্গলবারের বিক্ষোভের ছবিছবি: AP

ওবামা কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছেন

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা সাংবাদিকদের বলেছেন, ইরানের পরিস্থিতি বিচিত্র৷ কারণ, একদিকে মিশরের বিপ্লবকে ইরানের প্রশাসন স্বাগত জানাচ্ছে, আর অন্যদিকে নিজের দেশেই শান্তিপূর্ণ উপায়ে যারা নিজেদের দাবি দাওয়া জাননাতে সোচ্চার হচ্ছে, তাদের বুকে গুলি চালাচ্ছে পুলিশ৷ ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে চায়না যুক্তরাষ্ট্র, বলেছেন ওবামা৷ কিন্তু বিক্ষোভকারীদের ওপর দমনপীড়নের কড়া সমালোচনা করতে ছাড়েন নি তিনি৷

আহমাদিনেজাদ আরও কড়া শাস্তির হুমকি দিয়েছেন

বিক্ষোভে যারা ইন্ধন যোগাচ্ছে, এবং যারা রয়েছে এর নেপথ্যে, তাদের অবিলম্বে পাকড়াও করে কড়া শাস্তি দেওয়ার হুঁশিয়ারি শুনিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট৷ আহমাদিনেজাদ আরও বলেছেন, ইরান একটা সূর্যের মত উজ্জ্বল দেশ৷ তার অগ্রগতি অনেকের সহ্য হচ্ছে না৷ তাই তারা এইসব অনিয়ন্ত্রিত, যুক্তিহীন গোলমাল পাকাতে চাইছে৷ যার কোন ভিত্তিই নেই৷ সূর্যের দিকে তারা একমুঠো ধুলো ছোঁড়ার চেষ্টা করছে৷ কিন্তু তারা জানে না যে ওই ধুলো নিজেদের চোখেই ছড়িয়ে পড়বে৷

ইরানের দুই প্রধান বিরোধী নেতার মৃত্যুদন্ডের দাবিও উঠেছে

মঙ্গলবার ইরানের জাতীয় সংসদে প্রায় শ’দুয়েক সাংসদ মুসাভি আর কারৌবি-র মৃত্যুদন্ডের দাবি তুলে মিছিল করেছেন৷ মীর হোসেন মুসাভি আর মেহদি কারৌবিকেই চলতি বিক্ষোভের মূল কারিগর বলে বর্ণনা করা হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে৷ ফলে এই দুজনকেই প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে৷

প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা : জান্নাতুল ফিরদৌস

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান