1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীর রহস্যজনক প্রত্যাবর্তন

১৫ জুলাই ২০১০

দেশে ফিরেছেন ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী শাহরাম আমিরি৷ কিন্তু হঠাৎ করে একবছর আগে তার উধাও হয়ে যাওয়া এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রের পাকিস্তান দূতাবাস থেকে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো, সব কিছুর মধ্যেই রয়েছে রহস্য৷

https://p.dw.com/p/OMFa
শাহরাম আমিরিছবি: AP

তাকে ঘিরে রহস্যের জাল এখনও পুরোপুরি উন্মোচিত হয়নি৷

বৃহস্পতিবার ভোরে দেশের মাটিতে পা রাখেন পরমাণু বিজ্ঞানী শাহরাম আমিরি৷ তেহরানে পৌঁছে উষ্ণ অভ্যর্থনা পান তিনি৷ তবে তাকে ঘিরে রয়েছে রহস্য আর সন্দেহের জাল৷ দেশের মাটিতে নেমেই আমিরি বিজয়ের চিহ্ন দেখান৷ দাবি করেন, একবছর আগে মার্কিন গোয়েন্দা এজেন্টরা তাকে অপহরণ করেছিল৷ তবে এখন তার অবস্থান ওয়াশিংটন এবং তেহরানের ক্রসফায়ারের মাঝখানে৷

বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির গোপন তথ্যাদি জানানোর জন্যে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ আমিরিকে পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছে৷ আমিরি একবছরেরও বেশি সিআইএ-র হয়ে কাজ করেছেন বলেও পত্রিকায় বলা হয়েছে৷ তবে গোপন তথ্য পাচারের কথা তেহরানে পৌঁছে অস্বীকার করেছেন আমিরি৷ অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তারা আমিরিকে অপহরণের কথা নাকচ করে দিয়েছেন৷ তারা বলছেন, আমিরি স্বেচ্ছায় পক্ষ ত্যাগ করেন৷ সবচেয়ে মজার বিষয়টি হচ্ছে আমিরির পরিচয় সব জায়গায় ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী হলেও, তিনি সাংবাদিকদের কাছে নিজে দাবি করেছেন যে, তিনি কখনও ইরানের পরমাণু গবেষণার কাজে জড়িত ছিলেন না৷

যা নিশ্চিত বলে জানা গেছে তা হল, ২০০৯ সালে হজ্জ চলাকালে সৌদি আরব থেকে নিখোঁজ হন আমিরি৷ আর যে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করা যায়নি, তা হচ্ছে আমিরি বলছেন, তাকে অপহরণ করে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গিয়েছিল সিআইএ৷ এদিকে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের হাতে আমিরিকে তুলে দেবার জন্যে সৌদি আরবকে দোষারোপ করেছে৷ আমিরি বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে থেকে যাবার জন্যে তাকে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল৷ তার ওপর শারিরীক ও মানসিক অত্যাচার করা হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক