1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানি প্রেসিডেন্ট এর আফগানিস্তান সফর

৭ মার্চ ২০১০

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ সোমবার আফগানিস্তান সফর করবেন৷ তাঁর একদিনের সফরে আহমাদিনেজাদ আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এর সঙ্গে আলোচনা করবেন কিভাবে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে স্থিতিশীল করা যায়৷

https://p.dw.com/p/MMT0
ছবি: AP

ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা মের বলেছে, দুই নেতা আফগানিস্তান সমস্যার সমাধানের বিভিন্ন উপায় পরীক্ষা করবেন৷ ইরান আফগানিস্তানের সঙ্গে তার সম্পর্কের উন্নয়নে আগ্রহী৷ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ছাড়াও দুই নেতার আলোচনায় স্থান পাবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রশ্নও৷

ইরানি প্রেসিডেন্ট বারংবার আহ্ববান জানিয়েছেন আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী প্রত্যাহারের৷ তিনি বলেছেন, আফগানিস্তান সমস্যার সমাধান হবে না সামরিক উপায়ে৷ আহমাদিনেজাদ বলেছেন, যুদ্ধের পরিবর্তে পশ্চিমের উচিৎ আড়াই কোটি আফগানের জন্য চাকুরি সৃষ্টি করতে তাদের সামরিক বাজেটের একটা ক্ষুদ্র অংশ বিনিয়োগ করার৷ তিনি বলেছেন, বিদেশি সৈন্যের উপস্থিতি তালেবান বিদ্রোহীদের উৎসাহিত করছে৷ কিন্তু দুই দেশের মধ্যে বিরোধিতা সত্বেও ওয়াশিংটন এবং তেহরানের একটা সাধারণ স্বার্থ হচ্ছে এই যে তারা উভয়েই আফগানিস্তানের উগ্রপন্থী মুসলিম মিলিশিয়াদের শত্রু বলে গণ্য করে৷ উল্লেখ্য যে, তালেবান আফগানিস্তানের শাসন ক্ষমতায় ছিল ১৯৯৬ থেকে দুই হাজার এক সাল পর্যন্ত এবং মার্কিন নেতৃত্বে তারা বিতাড়িত হয় সে দেশ থেকে৷ তারপর থেকেই আফগানিস্তানে বিদেশী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে৷

ইরান সহ আফগানিস্তানের সকল প্রতিবেশী দেশকে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকবার প্রচেষ্টা করে আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা পুনপ্রতিষ্ঠার৷ কিন্তু তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় এবং ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচির কারণে সেসব প্রচেষ্টা সফল হয় নি৷ পশ্চিমা শক্তিগুলো চায় আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা অর্জনে আঞ্চলিক সহযোগিতা৷ পশ্চিমা নিরাপত্তা বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন আফগানিস্তান সমস্যার সমাধানে আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার কথা৷ তা না হলে মার্কিন নেতৃত্বধীন বাহিনী যখন আফগানিস্তান ত্যাগ করা শুরু করবে তখন দেশটিতে আবারো গৃহযুদ্ধ শুরু হতে পারে৷

প্রতিবেদক: আবদুস সাত্তার

সম্পাদনা : আরাফাতুল ইসলাম