1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরাকে সেনা দপ্তরের সামনে হামলা, নিহত ৬০

১৭ আগস্ট ২০১০

ইরাকে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছেন৷ আহত হয়েছেন শতাধিক৷ হতাহতরা সবাই সেনাবাহিনীতে নাম লেখাতে জড়ো হয়েছিলেন৷ একটি আঞ্চলিক সেনা সদর দপ্তরের বাইরে আত্মঘাতী হামলাকারী তার সঙ্গে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়৷

https://p.dw.com/p/OpD9
সম্প্রতি ইরাকে হামলা বেড়ে চলেছে৷ ৮ই অগাস্ট বসরায় এমন এক হামলা ঘটেছিলছবি: AP

ইরাকি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাগদাদের কাছের ওই সেনা দপ্তরে আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সকাল সাড়ে সাতটার দিকে বোমার বিস্ফোরণ ঘটে৷ বিস্ফোরণে হামলাকারী নিজেও নিহত হন৷ হামলাটি হয়েছে ইরাকি সেনাবাহিনীর একাদশ ডিভিশনের সদর দপ্তরের বাইরে৷ সাদ্দাম হোসেনের সময় এটি ছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ভবন৷ সেনাবাহিনীতে ভর্তি করানোর কাজটি এখন সেখানেই হয়ে থাকে৷ প্রতি সপ্তাহে পরীক্ষা নিয়ে ২৫০ জনকে সেনাসদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷ হামলাকারীরা লক্ষ্য ছিল ভাবী সেনাসদস্যরাই৷

হামলার দায়িত্ব কেউ স্বীকার করেনি৷ তবে ধারণা করা হচ্ছে, আল কায়দাই এর পেছনে রয়েছে৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, হামলাকারী একজন ছিল৷ ভিড়ের মধ্যে সে তার সঙ্গে থাকা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়৷ তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা কর্মকর্তা বলেন, হামলাকারী দুজনও হতে পারেন৷

বিস্ফোরণের সময় ওই স্থানে প্রায় ৩০০ লোক ছিল৷ এতে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বেড়ে যায়৷ হামলার পরপরই ইরাকি পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষীরা স্থানটি ঘিরে ফেলে৷ আকাশে উড়তে দেখা যায় মার্কিন হেলিকপ্টারও৷ ঘটনাস্থলে অনেকের দেহের ছিন্নভিন্ন অংশ পড়ে ছিল, দেখা যায় রক্তের দাগও৷ আহতদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ আল কার্ক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক যুবক রয়টার্সকে বলেন, ‘‘লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম আমরা৷ লাইনের তদারকিতে কয়েকজন সেনা কর্মকর্তাও ছিলেন৷ হঠাৎই বিস্ফোরণের প্রকট শব্দ৷ আমার ভাগ্য ভাল যে হাতে সামান্য আঘাত লেগেছে, আর কিছু হয়নি৷'' সেনাবাহিনীতে ভর্তি হতে ওই যুবকও অনেকের সঙ্গে সেখানে জড়ো হয়েছিলেন৷ পুলিশের হিসেবে বিস্ফোরণে আহতের সংখ্যা ১২৫৷

ইরাকে গত কিছুদিনের মধ্যে এই ধরনের বড় হামলা আর হয়নি৷ মার্কিন সৈন্য ইরাক ছাড়ার ঠিক আগেই এই হামলা হল৷ এই মাসেই ইরাক থেকে ৫০ হাজার সৈন্য প্রত্যাহার করছে যুক্তরাষ্ট্র৷ এরপরও যারা থাকবেন তারা শুধু ইরাকি বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেবেন৷ সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেবেন না৷ যদিও ইরাকি সেনাপ্রধান কয়েকদিন আগেই বলেছেন, দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়ার সামর্থ্য এখনো তারা অর্জন করতে পারেননি৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন