1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরাকে সিরিজ হামলা, নিহতের সংখ্যা বাড়ছে

১০ মে ২০১০

সোমবার সিরিজ বোমা এবং সশস্ত্র হামলায় কেঁপে ওঠে ইরাক৷ প্রাণ হারায় সেনা পুলিশসহ বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ৷ দেশটির সরকার বলছে, ইরাককে আবারো অশান্ত করে তুলতে এধরণের হামলা চালানো হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/NKa4
ফাইল ফটোছবি: AP

ইরাকে একাধিক গাড়িবোমা, আত্মঘাতী আর সশস্ত্র হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৬৫ জন, আহত ১৪০৷ সবচেয়ে বড় হামলাটি হয়েছে বাগদাদের ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে হিল্লা শহরে৷ সেখানে আত্মঘাতী জোড়া গাড়ি বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ২০ জন, আহত ৭০ জন৷

বাগদাদ এর দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে একটি মসজিদের কাছে অপর হামলায় প্রাণ হারায় আটজন, আহত কমপক্ষে ৫০৷ রাজধানীর উত্তরের শহর আল-তারেমায়ায় গাড়ি বোমা হামলায় প্রাণ হারায় দুই জন, আহত ১২৷ আল-হাল্লা শহরে অপর বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন এক উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা৷ সঙ্গে আহত ছয় পুলিশ কর্মী৷

এদিকে, বাকুরা প্রদেশের এক ঊর্ধ্বতন প্রাদেশিক কর্মকর্তাকে সন্ত্রাসীরা ঘরে ঢুকে গুলি করে হত্যা করেছে৷ এছাড়া, আবু ঘারিব, আল-আদিল, আল-জিহাদসহ কয়েক জায়গায় বোমা ও সশ্রস্ত্র হামলায় পাঁচ সেনা সদস্যসহ প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ১৯ জন৷ এসব হামলায় হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে৷

বর্তমানে ইরাকে নতুন সরকার গঠন নিয়ে বেশ অস্থিরতা চলছে৷ এরই মাঝে বেড়ে চলেছে সন্ত্রাসী হামলা৷ এই ঘটনার পর তাই ইরাকের ভাইস প্রেসিডেন্ট আদেল আব্দুল মেহেদী সব রাজনৈতিক দলকে দ্রুত সরকার গঠনে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন৷ ইরাকের ইসলামিক পার্টি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ইরাকের নিরাপত্তা পরিস্থিতি অবনতির পরিষ্কার ইঙ্গিত এটি৷

ইরাকের সেনাবাহিনী ধারাবাহিক হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সাত সম্ভাব্য সন্ত্রাসীকে আটক করেছে৷ বাকুরা প্রদেশের প্রাদেশিক কর্মকর্তাকে হত্যার পেছেন আল-কায়দা সন্ত্রাসীরা জড়িত থাকতে পারে বলে জানাচ্ছে পুলিশ৷ তাছাড়া, আত্মঘাতী হামলা সাধারনত আল-কায়দা জঙ্গি গোষ্ঠী চালিয়ে থাকে বলেও মত বিশেষজ্ঞদের৷ তবে, এসব হামলার দায় এখনো কেউ স্বীকার করেনি৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক