ইরাকে সাধারণ নির্বাচনের ভোটাভুটি সম্পন্ন
৭ মার্চ ২০১০একের পর এক বোমা আর মর্টার হামলার মধ্যেই ইরাকে সাধারণ নির্বাচনের ভোটাভুটি সম্পন্ন হয়েছে৷ নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি সত্ত্বেও বাগদাদে অন্তত ১১টি জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ২২ জন, আহত ৪৮ জন৷ ইরাকের উত্তরাঞ্চলের শহর মসুল-এ জঙ্গিদের মটার হামলার কারণে বন্ধ করে দেয়া হয় ৫টি ভোটকেন্দ্র৷ এসময় আহত হন ৬ জন পর্যবেক্ষক৷ এরকম পৃথক পৃথক জঙ্গি হামলার খবর পাওয়া গেছে ইরাকের বিভিন্ন শহর থেকে৷ একাধিক বার্তা সংস্থা অবশ্য ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ভোটাভুটির সময় হামলায় নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৩৮ জন, আহত ১১০ জন৷
এই প্রসঙ্গে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকি বলেন, এই ধরণের সহিংসতা মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য৷ কিন্তু ইরাকিরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে৷ তারা নিজেরাই দেখছে কতজন মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছে৷
এদিকে, জঙ্গি হামলা সত্ত্বেও ইরাকের ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের সন্তোষজনক উপস্থিতি দেখা গেছে৷ অনেকে ভোটকেন্দ্রে হাজির হন নতুন পোশাক পড়ে, উৎসবের আমেজে৷ ৬২ বছর বয়স্ক এক ভোটার জানালেন, নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ৷ যদি আমি চাই, ভোট দিতে পারি৷ আমি আশা করি, কিছু ইরাকি এবং নতুন সরকার এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ভালো কিছু করবে৷
ইরাকের নির্বাচন কমিশনের আশা, সারা দেশে ১৮ দশমিক ৯ মিলিয়ন ভোট পড়তে পারে৷ তবে, জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানায়, সহিংসতার কারণে অনেক ভোটার ভোটকেন্দ্রে যাবার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েও ফিরে এসেছে৷ আল-কায়দা আর বাথ পার্টি পরিস্থিতি খারাপ করেছে বলে দাবিও অনেকের৷ এই প্রসঙ্গে কুর্দিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী আজাদ বারুয়ারি জানান, পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে৷ বাথ পার্টি এবং আল-কায়দা গোষ্ঠী দেশটিকে অস্থিতিশীল করতে করণীয় সবকিছুই করছে৷ কেন্দ্রীয় ইরাকের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন৷
এদিকে, ইরাকের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আয়াদ আলাবি ভোটগ্রহণে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন৷ অবশ্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী নুরী আল-মালিকি নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন মেনে নেওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন৷
প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার