1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরাকে ভোট গণনা শুরু, মালিকি এগিয়ে

৯ মার্চ ২০১০

ইরাকে জাতীয় নির্বাচনের ভোট গণনা সোমবার শুরু হয়েছে৷ রবিবারের নির্বাচনে প্রায় ৬২ শতাংশ ভোটার উপস্থিতির জন্য ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী প্রশংসা কুড়িয়েছে দেশটির জনগণ৷

https://p.dw.com/p/MNbN
ভোট দিচ্ছেন ইরাকি প্রধানমন্ত্রী নূরি আল-মালিকিছবি: AP

নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফল মঙ্গলবার প্রকাশিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ চূড়ান্ত ফলাফল চলতি মাসের শেষের দিকে প্রকাশিত হবে৷ বিশ্লেষকদের ধারণা, নির্বাচনের ফলাফলের পরও শিয়া, সুন্নি, কুর্দ এবং ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলোর মধ্যে একটি জোট সরকার গঠনে বেশ দীর্ঘ সময় লাগতে পারে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন বলেছেন, ‘‘ইরাকের নির্বাচনে ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি গণতন্ত্রের প্রতি ইরাকিদের আগ্রহেরই প্রমাণ৷'' সন্ত্রাসী হামলার হুমকি সত্ত্বেও ব্যাপক ভোটার উপস্থিতির জন্য মার্কিন রাষ্ট্রপ্রধান বারাক ওবামাও ইরাকিদের প্রশংসা করেছেন৷

সোমবার প্রধানমন্ত্রী নূরি আল মালিকির নেতৃত্বাধীন ‘স্টেট অব ল' জোট বাগদাদ ও শিয়া অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলে বিজয়ের পথে রয়েছে বলে দাবি করেছে৷ তারা ১৮টি প্রদেশের মধ্যে নয়টি প্রদেশে এগিয়ে রয়েছে বলে খবর৷ এরপরে এগিয়ে রয়েছে কয়েকটি বড় শিয়া দলের সমন্বয়ে গঠিত ইরাকি ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স - আইএনএ৷ সরকারের মুখপাত্র এবং ‘স্টেট অব ল'-এর প্রার্থী আলি আল-দাব্বাগ বলেন, ‘‘বাগদাদ ও দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশে ‘স্টেট অব ল' জোট অন্য দলগুলোর চেয়ে এগিয়ে আছে৷'' তবে মালিকি তাঁর সাবেক শিয়া ইসলামি মিত্র আইএনএ'র কাছ থেকে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন হয়েছেন৷

Flash Irak Wahl 2010
নিজ কন্যাকে দিয়ে ব্যালট পেপার বাক্সে ফেলছেন এক কুর্দি নারী ভোটারছবি: AP

ক্ষমতাশালী সুপ্রিম ইসলামিক ইরাকি কাউন্সিল জানিয়েছে, ‘‘প্রাথমিক ভোট গণনায় মালিকি এবং আইএনএ-এর মধ্যে ভোটের ব্যবধান খুব সামান্য৷'' সংখ্যালঘু সুন্নিদের সমর্থন পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী আইয়াদ আলাবির দল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিন নম্বরে আছে বলে কাউন্সিল জানায়৷ দীর্ঘ দিন ধরে কুর্দ রাজনীতি নিয়ন্ত্রণকারী প্রেসিডেন্ট জালাল তালাবানির পেট্রিয়টিক ইউনিয়ন অব কুর্দিস্তানকে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে সংস্কারবাদী গোরান দল৷

সন্ত্রাসীদের পরিচালিত ব্যাপক বোমা হামলা সত্ত্বেও ইরাকের এই নির্বাচনে শতকরা ৬২.৪ ভাগ ভোটার অংশ নিয়েছেন৷ কুর্দি এলাকা ডহুকে ৮০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতির কথা জানিয়েছেন দেশটির স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র হামদিয়া আল হুসাইনি৷ এছাড়া আরবিল প্রদেশে ৭৬ শতাংশ এবং সুলাইমানিয়া প্রদেশে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৭৩ শতাংশ৷ ইরাকে সংসদ নির্বাচন শুরু হবার পর থেকে সন্ত্রাসী হামলায় ৩৮ জন নিহত ও ১১০ জন আহত হয়েছে৷ আল-কায়েদা এ নির্বাচন বর্জন করতে ইরাকিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল এবং ভোটে অংশগ্রহণকারীদের ওপর হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছিল৷

প্রতিবেদক: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী