ইরাকে নতুন সরকার গঠন, বিশ্ব নেতাদের শুভেচ্ছা
২২ ডিসেম্বর ২০১০ইরাকের নবগঠিত ‘আংশিক' মন্ত্রিসভা মঙ্গলবার অনুমোদন করেছে দেশটির সংসদ৷ আংশিক বলার কারণ হচ্ছে, ৪২ সদস্য বিশিষ্ট মন্ত্রিসভার ৭০ শতাংশ অনুমোদিত হয়েছে৷ ফলে নির্বাচনের দীর্ঘ নয় মাস পর সরকার গঠিত হলেও তা এখনও কিছুটা শূন্য রয়ে গেল৷ শূন্যপদগুলোতে ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা দায়িত্ব পালন করবেন৷ পরে সেগুলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে পূরণ করা হবে৷ সংসদে অনুমোদনের পরই শপথ গ্রহণ করেছেন নতুন মন্ত্রী পরিষদ৷ এছাড়া মঙ্গলবার সংসদে অনুমোদিত হয়েছে সন্ত্রাস বিরোধী কর্মসূচি ও বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে বেশ কিছু সরকারি পরিকল্পনা৷
সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি খুঁজে না পাওয়ায় নতুন মন্ত্রী পরিষদের তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পড়েছে প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকির উপর৷ এগুলো হচ্ছে প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র এবং জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়৷ নতুন মন্ত্রী পরিষদে জ্বালানি বিষয়ক ঊপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যুক্ত হয়েছেন সাবেক তেল বিষয়ক মন্ত্রী হুসেন আল শাহরিস্তানি৷ বাদ গেছেন সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী হোশিয়ার জেবারি৷ ২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইরাক অভিযানের সময় থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন জেবারি৷ অবশ্য তাঁকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের৷ যাহোক, মালিকি অবশ্য তাঁর বক্তৃতায় স্বীকার করেছেন যে, এই মন্ত্রিসভাও আশানুরূপ হয়নি৷
নির্বাচন পরবর্তী দীর্ঘদিনের আলোচনা-পর্যালোচনা আর সমঝোতার পর গঠিত এই মন্ত্রিসভাকে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল৷ নতুন মন্ত্রিসভাকে স্বাগত জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ‘‘প্রতিনিধি পরিষদে আজকের ভোট ইরাকের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত এবং জাতীয় ঐক্যের দিকে বড় ধরণের অগ্রগতি৷'' প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকিকে অভিনন্দন জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন বলেন, ‘‘ইরাকের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এটি একটি বড় অগ্রগতি৷'' জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে নতুন ইরাকি সরকারকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘‘সকল গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে নতুন ইরাকি সরকার গঠন সকল ইরাকিদের জন্য একটি ভালো খবর৷ এখন ইরাক পুনর্গঠনে বড় ধরণের হুমকিসমূহ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচেষ্টা চালানো তাঁদের দায়িত্ব৷''
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম