ইরাকের পুনর্গঠনে অংশ নিতে জার্মানির তৎপরতা
৫ ডিসেম্বর ২০১০লক্ষ্য বাণিজ্য বৃদ্ধি
শনিবার ইরাক সফরের শুরুতে ভেস্টারভেলে বৈঠক করেছেন ইরাকের প্রেসিডেন্ট জালাল তালাবানির সঙ্গে৷ এছাড়া প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকি এবং স্পিকার ওসামা আল নুজাফির সঙ্গেও তিনি দেখা করেছেন, কথা বলেছেন৷ ইরাকি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বৈঠকের মূল বিষয় ছিল ইরাকের পুনর্গঠনে জার্মানির আরও সংশ্লিষ্টতা৷ ইরাক যুদ্ধের পর সেদেশের তেলকূপগুলোর দখল মূলত যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের কাছেই গিয়েছে৷ এবার ইরাকের অবকাঠামোগত পুনর্গঠনে অংশ নিতে চায় জার্মানি৷ সেই কারণে এবার ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের নিয়ে বাগদাদ গিয়েছেন জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রী৷ সেখানে তিনি বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ যে নতুন সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে ইরাকে তাদের সঙ্গে বাণিজ্যিক খাতে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে জার্মানি আগ্রহী৷ একই সঙ্গে তিনি ইরাকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে জার্মানির সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন৷
ইতিবাচক সাড়া
উল্লেখ্য, ইরাকের বর্তমান প্রশাসন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত৷ অন্যদিকে জার্মানি মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইরাক যুদ্ধে অংশ নেয়নি৷ তবে এরপরও ইরাকি প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকি জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বক্তব্যে সায় দিয়েছেন৷ তিনি বলেছেন, তাঁরাও চান জার্মানির সংস্থাগুলো ইরাকে আরও বেশি করে আসুক এবং কাজ করুক৷ জানা গেছে, দুই পক্ষের মধ্যে শনিবার বিনিয়োগ নিয়ে একটি চুক্তিও হয়ে গেছে৷ উল্লেখ্য, একসময় জার্মানি ছিল ইরাকের অন্যতম বাণিজ্যিক অংশীদার৷ তবে ইরাক যুদ্ধের পর সেটি বদলে গেছে৷ তবে গত বছরের তুলনায় এই বছর দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ বেশ বেড়েছে৷
সঙ্কটপূর্ণ নিরাপত্তা
এদিকে বাগদাদের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আবারও সঙ্কটপূর্ণ হয়ে উঠেছে৷ শনিবার একাধিক বোমা হামলায় ১৩ ব্যক্তি নিহত হয়েছে৷ বাগদাদের উত্তরের আল কাধিমিয়া এলাকায় একটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরিত হলে ১১ জন শিয়াপন্থী মুসলমান প্রাণ হারায়৷ অন্যদিকে, আল শোয়ালা জেলায় আরও একটি বোমা বিস্ফোরণে দুই জন নিহত হয়৷ ইরাকি পুলিশ জানিয়েছে, বাগদাদের নানা জায়গায় বোমা বিস্ফোরণে প্রায় একশ মানুষ আহত হয়েছে৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই