1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইন্দোনেশিয়ায় ‘ভাত কম খান’ প্রচার সাফল্যের মুখ দেখেনি

২৩ ডিসেম্বর ২০১০

ইন্দোনেশিয়া সম্প্রতি চালের ওপর মাত্রাধিক চাপ কমানোর এক উচ্চাভিলাষী প্রচার চালিয়েছে৷ কিন্তু তা খুব একটা সাফল্যের মুখ দেখেনি৷ বিশ্বের চতুর্থ সবচেয়ে জনবহুল এই দেশে এই প্রচার অভিযান শেষ পর্যন্ত ধোপে টেকেনি৷

https://p.dw.com/p/zobC
ইন্দোনেশিয়ার একটি চালের আড়তছবি: AP

ঐ প্রচার অভিযানের আওতায় ইন্দোনেশিয়ার মানুষদের তাদের দৈনন্দিন খাবারের মেন্যুতে শ্বেতসার জাতীয় উদ্ভিদ কাসাভা অন্তর্ভুক্ত করার জন্যে উৎসাহিত করা হয়৷ জনগণের খাবারে বৈচিত্র্য আনা এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই ছিল সরকারের ঐ প্রচেষ্টার একটি অংশ৷

প্রচার অভিযান শুরু করার একবছর পরে দেখা গেছে, খুব কম মানুষই কাসাভা বা অন্য শস্য দিয়ে তাদের খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে সচেষ্ট হয়েছেন৷ কিন্তু প্রতিবারের খাবারেই ভাতের উপস্থিতি থেকেই গেছে৷ ভাতের প্রতি ইন্দোনেশিয়দের দুর্বলতা জাকার্তার গৃহবধূ ইয়েন্নি পুস্পানিংটিয়াসের কথাতেই প্রতিফলিত হয়৷ তিনি বলেন, ‘‘দিনের খাবার হিসেবে ভাত না খেলে আমার মনে হয়, আমি খাবারই খাইনি৷''

বিশ্বে চালের সবচেয়ে বড় ভোক্তা ইন্দোনেশিয়া৷ দেশটির সরকার বলছে, ভাতের ওপর চাপ কমানোর এই কর্মসূচি শুধু জনগণের স্বাস্থ্যের ভারসাম্য বজায় রাখতেই নেওয়া হয়নি, সাথে সাথে খাদ্যে স্থিতিশীলতা রক্ষা করাও এর লক্ষ্য ছিল৷ উপ কৃষিমন্ত্রী বায়ু কৃষ্ণমূর্তি বলেন, ‘‘শুধুমাত্র ভাত থেকে কার্বোহাইড্রেট না নিয়ে কাসাভা বা অন্যান্য শস্য থেকে কার্বহাইড্রেট নেওয়ার জন্যে উৎসাহিত করাও আমাদের লক্ষ্য৷ কেননা শুধু একটা খাবরের ওপরে নির্ভর করা শরীরের জন্যেও ভালো না৷'' তিনি বলেন, ‘‘এই প্রচার অভিযান স্থানীয় কৃষকদের জন্যে নতুন সুযোগ তৈরি করবে বলেও আমরা আশা করি৷''

২৩০ মিলিয়ন মানুষের বাস ইন্দোনেশিয়ায়৷ দেশটিতে বছরে চাল লাগে ৩৫ মিলিয়ন টন৷ এক মিলিয়ন অর্থাৎ প্রায় ১০ লাখ টন চাল আমদানি করা হয় বলে কৃষ্ণমূর্তি জানিয়েছেন৷ ইন্দোনেশিয়রা গড়ে বছরে ১৩৯ কিলোগ্রাম চালের ভাত খায়৷ যেখানে প্রতিবেশী দেশ মালয়েশিয়ায় লাগে ৪০ কিলোগ্রাম এবং জাপানে লাগে ৬০ কিলোগ্রাম৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক