1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইন্দোনেশিয়ায় টিভি গসিপ শো দেখার ওপর ফতোয়া জারি

৩০ জুলাই ২০১০

ইন্দোনেশিয়ার টেলিভিশনগুলোতে সম্প্রচারিত বিনোদনমূলক টিভি গসিপ শো দেখা নিষিদ্ধ করে ফতোয়া জারি করেছে দেশটির ইমামরা৷ একই সঙ্গে তারা বলেছে জেন্ডার পরিবর্তনের চেষ্টায় কোনো ধরনের অস্ত্রপচারও হারাম৷

https://p.dw.com/p/OXmr
ইন্দোনেশিয়ার কট্টরপন্থী ইসলামি দলের সমর্থকরাছবি: AP

বিনোদনমূলক টিভি গসিপ শো দেখা অথবা জেন্ডার পরিবর্তনের চেষ্টায় অস্ত্রপচার করা মুসলমানদের জন্যে নিষিদ্ধ বলে ফতোয়া জারি করেছে ইন্দোনেশিয়ার সর্বোচ্চ ইসলামি সংগঠন ইন্দোনেশিয়ান উলেমা কাউন্সিল বা এমইউআই৷ তারা বলছে, মানুষের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার টেলিভিশনের গসিপ শো গুলোতে যা দেখানো হয় তা অনৈতিক এবং সমাজের জন্যে হুমকি স্বরূপ৷

এমইউআই-এর কর্মকর্তা আসরোরুন নিয়াম সলেহ বুধবার বলেছেন, অনৈতিক বিষয়বস্তু নিয়ে তৈরি হয় টেলিভিশনের বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানগুলো৷ আর সেজন্যেই আমরা বিষয়টির ওপর ফতোয়া জারির কথা বিবেচনা করেছি৷ তিনি বলেন, এই ধরনের অনুষ্ঠান সাংবাদিকতার নীতি লঙ্ঘন করছে৷ তিনি বলেন, আমরা সব ধরনের বিনোদনমুলক অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে নই৷ যেসব গল্প মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের বিস্তারিত নির্লজ্জভাবে প্রকাশ করে দেয়, সেগুলো দেখতে নিষেধ করার কথা বলা হয়েছে৷ তিনি বলেন, বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে মুনাফা অর্জন করাও অধ্যাদেশ অনুযায়ী হারাম৷

সলেহ বলেন, গসিপ শো-তে যদি আইন, মানুষকে সতর্ক করা বা জনগণকে সাহায্য করার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা বা তুলে ধরা হয় তবে সেটি দেখার অনুমতি দেয়া হবে৷ তিনি আরো জানান, ভবিষ্যৎ বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের দিক নির্দেশনা হিসেবে এই বিষয়গুলো ইন্দোনেশিয়ার সম্প্রচার কমিশনের কাছে উপস্থাপন করা হবে৷

গত জুনে রক গায়ক নাজরিল আরিয়াল ও তার বান্ধবীদের নিয়ে একটি সেক্স ভিডিও চিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পরার পর ইন্দোনেশিয়ায় বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়৷ মঙ্গলবারে এমইউআই-এর বৈঠকে আরও যে বিষয়টির ওপর ফতোয়া জারি করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেটি হচ্ছে, চিকিৎসার জন্যে কোনো সঙ্গত কারণ ছাড়া জেন্ডার পরিবর্তনের জন্যে অস্ত্রপচার৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই